লেখক শংকর(Photo Credit: Facebook)

কলকাতা, ৪ জুলাই: শংকর নামটা বই পাঠক বাঙালির খুব চেনা, একেবারে কাছের মানুষ। সে “চৌরঙ্গি” হোক বা “এক ব্যাগ শংকর” মণিশংকর মুখুজ্জে (Mani Sankar Mukherjee) মানেই “অজনা অচেনা বিবেকানন্দ”। কোথা থেকে শুরু করব আর কোথায় ইতি টানব, এযেন ভাবনার অতীত। সেই প্রিয় সাহিত্যিক শংকর এবার কলকাতার আগামী শেরিফ। যাবতীয় প্রশাসনিক কাজকর্ম চুকেছে। আগামী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের মনোনয়ন অনুযায়ী শেরিফ হিসেবে শংকরের নাম ঘোষিত হতে চলেছে। ওদিনই তিনি শেরিফ হিসেবে নির্বাচিত হবেন (new sheriff of Kolkata)। এখনও পর্যন্ত কলকাতার শেষ শেরিফ চিকিৎসক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। আরও পড়ুন-Wig for Cancer Patient:ক্যানসার রোগীদের বাঁচাতে একঢাল চুল কেটে নেড়া হল ছোট্ট তিতির

সাহিত্যিক শংকরের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল শিক্ষকতার মধ্যে দিয়ে। মাঝে মাঝে হাইকোর্ট পাড়ায় লেখালিখির কাজও করতেন। ১৯৩৩ সালের ৭ ডিসেম্বর মণিশংকর মুখোপাধ্যায়ের জন্ম হয় অধুনা বাংলাদেশের যশোহর জেলার বনগ্রামে। যদিও শৈশব কৈশোর তিনি হাওড়াতেই কাটিয়েছেন। হাইকোর্ট পাড়ার শেষ ইংরেজ ব্যারিস্টার নোয়েল ফ্রেডরিক বারওয়েলের অধীনেও কাজ করেছেন শংকর। ১৯৫৩–তে বারওয়েলের মৃত্যুর পরেই লেখালিখিতে পাকাপাকি ভাবে চলে আসেন তিনি। ‘চৌরঙ্গী’, ‘জনঅরণ্য’, ‘অচেনা অজানা বিবেকানন্দ’, ‘সীমাবদ্ধ’ ‘কত অজানারে’ সমেত অসংখ্য জনপ্রিয় বইয়ের প্রণেতাও এই শংকর।

বলাবাহুল্য, ব্রিটিশ শাসকরাই এই শেরিফ পদের সৃষ্টিকর্তা। বিংশ শতাব্দিতে কলকাতায় প্রথম শেরিফ পদের জন্ম। ১৭৭৫ সালে জেমস ম্যাকব়্যাবে কলকাতার প্রথম শেরিফ তাঁকে নির্বাচিত করেন স্যার এলাইজা ইম্পে, যিনি সেসময় কলকাতার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ‘কত অজানারে শংকরের প্রম বই। তিনি তখন ব্যারিস্টার বারওয়েলের অধীনে কর্মরত। বারওয়েল ১৯৫৩ সালে এক মামলার কাজে মাদ্রাজ যান, সেখানেই মাদ্রাস হাইকোর্টে কেসের হলফ শুনানির সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হলে এসব কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে লেখালেখিতে মন দেন শংকর। আমরা পাই বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি ‘কত অজানারে। সেই সেদিন নতুন লেখক আজ বছর ৮৬-র নামী সাহিত্যিক, আর সোমবার থেকে সেি তিনিই কলকাতার বর্তমান শেরিফ।