Rupee Rain In Kolkata: দিনেদুপুরে কলকাতার রাজপথে টাকার বৃষ্টি, ব্যাপারটা কি?
ফাইল ফোটো (Photo: PTI)

কলকাতা, ২০ নভেম্বর: দিনগত পাপক্ষয়ে যদি পড়ে পাওয়া ১৪ আনার জায়গায় কেউ যদি ১৬ আনা পেয়ে যায় তাহলে দিনের শেষে সেই বাজিগর। তবে এই মাগ্গি গন্ডার বাজারে সেসব তো দুর্লভ স্বপ্ন বই নয়। তবে তাতে কি মাঝে মাঝে ভাগ্যদেবীও অলক্ষ্যেই মুচকি হাসেন। তাইতো হরিপদ কেরাণির পকেটেও খসখসিয়ে ওঠে গোলাপী রঙের ২ হাজারের নোটের বান্ডিল (Rupee Rain)। তেমনটাই ঘটল আজ। শহরের প্রাণকেন্দ্রে ডালহৌসির বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে হুড়মুড়িয়ে পড়তে শুরু করল পাঁচশো ও দু’হাজারের নোটের বান্ডিল। প্রথমটায় স্বপ্ন ভেবে প্রত্যক্ষদর্শীরা হকচকিয়ে গেলেও তারপরেই টাকা কুড়োতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পথচারী ও স্থানীয় দোকানদাররা যে যেমন পেরেছেন নোটের বান্ডিল পকেটে পুরেছেন।

এদিকে টাকা পকেটে পেয়ে কেউ আর অকুস্থলে ছিলেন না একেবারে সোজা বাড়িমুখো হয়েছেন। এমনিতে অভিযোগ হল, ওই এলাকায় চার্টার্ড ফার্মের আড়ালে ভুয়ো ব্যবসা চলে বহু জায়গায়। নোটবন্দির সময়েও দেখা গিয়েছিল কত অফিস থেকে বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হয়েছে। ফের এদিন দেখা গেল। আর যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে আয়কর ভবনের দূরত্ব মেরেকেটে ২০০ মিটারও নয়। অথচ ২৭ নম্বর বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে এমকে পয়েন্ট বিল্ডিং-এ রয়েছে বহু অফিস। সেখানে ভুয়ো সংস্থার আড়ালে বড় অঙ্কের টাকার খেলা চলে, এমন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সেখানেই বুধবার দুপুরে আড়াইটে নাগাদ আয়কর কর্তারা তল্লাশিতে যান। এরপরই ওই বহুতলের সাত তলা থেকে টাকা পড়তে শুরু করে। টাকা ফেলতে গিয়ে কিছু নোট আবার কার্নিশে পড়ে গিয়েছিল। দেখা গিয়েছে জানলা দিয়ে ওয়াইপার গলিয়ে কেউ আবার খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সেই টাকা আবার কার্নিশ থেকে নিচে ফেলছে। আরও পড়ুন-12 year old boy commits suicide: পড়াশোনায় মন নেই, বাবা-মায়ের ধমক খেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া

সন্ধে পর্যন্ত খবর, আয়কর কর্তারা ওই অফিসে তল্লাশির কাজ করছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় দশ মিনিট ধরে একশো, পাঁচশো এমনকি দু’হাজার টাকার নোটও পড়তে থাকে। কয়েক লক্ষ টাকা উপর থেকে নিচে ফেলা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।