কলকাতা, ২০ নভেম্বর: পড়াশোনায় মন ছিল না, স্কুলে প্রতিনিয়ত শিক্ষকদের বিরাগভাজন হচ্ছিল ছেলেটি। বাবা-মাকে ডেকে ছেলের পড়াশোনার দিকে নজর দিতে বলেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছেলে যে পড়াশোনা করছে না তানিয়ে অভিযোগও জানানো হয়। বাড়ি ফিরলে রাতে বাবা সামান্য বকাবকি করেছিলেন। আর সেটাই মানতে পারেনি ষষ্ঠ শ্রেণির রোহন রায় (Rohan Roy)। অভিমানে মায়ের শাড়ি গলায় জড়িয়েই আত্মঘাতী হল বাঘাযতীনের এই ছাত্র। মঙ্গলবার রাতে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন।
জানা গিয়েছে, রোহন নাকতলা হাই স্কুলের ছাত্র ছিল। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা বাড়ির লোকজনও রোহনকে বেশ বকাবকি করেন বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। এরপরই বাড়ির দোতলায় নিজের পড়ার ঘরে চলে যায় ক্লাস সিক্সের এই ছাত্র। বন্ধ করে দেয় দরজা। রাতে খাওয়ার জন্য অনেকবার ডেকেও সাড়া না পাওয়ায় দরজা ধাক্কা দেন পরিবারের লোকজন। খুলছে না দেখে ডাকা হয় প্রতিবেশীদেরও। এরপর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায় মায়ের শাড়ি গলায় জড়িয়ে সিলিং থেকে ঝুলছে রোহন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রোহনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হয়েছে নাকতলা হাইস্কুলের এই ছাত্র। আরও পড়ুন-West Bengal: ইউনিফর্ম না পরে আসায় 'নগ্ন' করে ক্লাস করানো হল স্কুলে
পড়াশোনা না করলে বাবা-মা বকাবকি করবেন, এটাই স্বাভাবিক। আগে তো একারণে মারধরও করা হত। তবে এখন সেসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে বললেই হয়। সামান্য বকাবকির জের সহ্য করতে না পেরে যে কিশোর ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিতে পারে, তা ভাবতেই পারছেন না প্রতিবেশীরা। খবরটা শোনার পর থেকেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গোটা ঘটনায় হতবাক রোহনের বাবা-মা। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।