পশ্চিমবঙ্গ, ১৩ জুলাই: করোনা সংকটের মধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিন্দোল এলাকায় বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের (Debendra Nath Ray) দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দল, পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি খুনের পর বিজেপি বিধায়ককে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জের বিন্দোল পঞ্চায়েত এলাকার বালিয়া গ্রামে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ি। সেখান থেকে ১ কিলোমিটার দূরে একটি বন্ধ দোকানের বারান্দা থেকে উদ্ধার করা হয় বিজেপি বিধায়কের হাত বাঁধা ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খুনের তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনবারের প্রধান দেবেন্দ্রনাথবাবু ২০১৬ সালে সিপিএমের টিকিটে হেমতাবাধ থেকে জয়ী হয়েছিলেন। পরোপকারী ও দিলখোলা মানুষ হিসেবেই এলাকায় তাঁর পরিচিতি ছিল। ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। রায়গঞ্জের সাংসদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি বলেন,”দেবেনবাবুর মৃত্যু যথেষ্ট সন্দেহজনক। হাত বাঁধা অবস্থায় কখনই একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারেন না। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ বের করুক।” বিধায়কের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দফতরে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতারা। খবর দেওয়া হয় দিল্লিতে। দিল্লির নির্দেশে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে হেমতাবাধে পাঠানো হচ্ছে প্রতিনিধিদল। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘নির্বাচন এগিয়ে আসতেই রাজ্যে শাসকদলের সন্ত্রাস শুরু হয়ে গেছে। পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে আমাদের দলের বিধায়ককে।’’ আরও পড়ুন-Coronavirus Tally In India: একদিনে সংক্রমণ সর্বাধিক, সংখ্যার নিরিখে ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৯ লাখ ছুঁই ছুঁই
রবিবার করোনাভাইরাস পজিটিভ প্রাক্তন আরএসএস নেতা তপন ঘোষের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৬৭ বছরের তপন ঘোষ ছিলেন হিন্দু সংহতি দলের প্রতিষ্ঠাতা। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত সপ্তাহের শেষের দিকে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিনের আগে পরে দুই নেতার মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য বিজেপি শিবিরে শোকের ছায়া।