কলকাতা, ১৫ জুলাই: হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। তাই রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউনের (containment Zone Lockdown) সময়সীমাও বেড়ে গেল। আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন। পাশাপাশি কলকাত-সহ রাজ্যের ৬টি শহরে চালু হচ্ছে কড়া লকডাউন। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতা, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি, কুচবিহার, মালদহ। গতকালই রাজ্যের কনটেইমনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আজ বুধবার থেকে বাড়ছে লকডাউনের সময়সীমা। বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৭ দিন বারাসত পুর এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। করোনা-আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। তাই বারাসত পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডই এই নিয়ন্ত্রণবিধির আওতায় আসছে। লকডাউন চলাকালীন অটো-টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
জানা গিয়েছে, বারাসতে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে। পাইকারি বাজার খুলবে সোম বুধ শুক্র ও রবিবার। তবে ওষুধ ও দুধের দোকান এই তালিকায় পড়ছে না। মঙ্গলবার মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বারাসত পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সেখানেই ঠিক হয় যে, যাঁদের বাড়িতে পর্যাপ্ত ঘর ও শৌচালয় নেই, তাঁদের জন্য সেফ আইসোলেশনও তৈরি হবে। মূলত কোভিড সংক্রমণ রুখতেই রাজ্যের ছটি শহরকে সার্বিক লকডাউনে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই কড়া লকডাউনের জেরে বেশ কয়েকটি এলাকায় কাজ হয়েছে। এদিকে সংক্রমণের নিরিখে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। তাই পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনতে বারাসত পুর এলাকায় কঠোর লকডাউন চালু হচ্ছে। আরও পড়ুন-Coronavirus in West Bengal: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১৩৯০ জন, উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যা
স্বাস্থ্য দপ্তরের মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ৬,২৮৫। মৃত ১৮০। কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০৫৫০। মৃত্যু হয়েছে ৫৭৬ জনের। হাওড়ায় করোনায় আক্রান্ত ৪২৩৯। মৃত ১৩৪। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৪৪৬ জন। ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের মোট ১৩৯০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট সংক্রামিত ৩২ হাজার ৮৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মারা গেছেন ২৪ জন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৮০।