Suvendu Adhikari: ঘণ্টাখানেক টানাপোড়েনের পর রাধামণিতে শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ছাড়ল পুলিশ
Suvendu Adhikari. (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ১২ জুন: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-র কনভয় আটকে দিল পুলিশ। কলকাতায় আসার পথে শুভেন্দুর গাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের রাধামণিতে আটকানো হয়। ঘণ্টাখানেক ধরে শুভেন্দুর সঙ্গে পুলিশের সঙে বচসা চলার পর, তাঁর কনভয়কে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। শেষ অবধি নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ককে এসকর্ট করে নিয়ে যায় পুলিশ। বিধায়ক অশোক দিন্দার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হাওড়া গ্রামীণ অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে হাওয়া যেতে নিষেধ করেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানা। থানার তরফে চিঠি লিখে শুভেন্দু অধিকারিকে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ জেলার অধীন এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ ওই এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারীকে এগোতে না দেওয়ার ব্যাপারে অনড় ছিল পুলিস। এরপরই রাধামণিতে গাড়িতে বসেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন শুভেন্দু। পুলিশ কর্তাদের শুভেন্দু বলেন, "আপনাদের কে অধিকার দিয়েছে আমাকে এই রাধামণিতে আটকানোর? কলকাতায় যাব, বিরাটিতে মিছিল রয়েছে।"আরও পড়ুন: হাওড়ার পর রাজ্যের আরও এক জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট

দেখুন টুইট

এর আগে হাওড়ায় অশান্তিতে ১৪৪ ধারা জারির মাঝে বিজেপি-র পার্টি অফিস ভাঙা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিকে চিঠি লেখেন শুভেন্দু।

পয়গম্বরকে ( Prophet Muhammad) নিয়ে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মার (Nupur Sharma) আপত্তিজনক মন্তব্যের প্রতিবাদে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি শুরু হয়েছে। অভিযোগ, কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বাড়ি ও কয়েকটি বিজেপি পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকালই হওড়ার পাঁচলা যাওয়ার চেষ্টা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে, দ্বিতীয় হুগলি সেতু পার করতেই তাঁকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ।প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। লালবাজার থেকে বেরিয়ে সোজা রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি।