কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর: শরতের আকাশজুড়ে ঘন কালো মেঘ, মাঝে মাঝেই ঝমঝমিয়ে নামছে বৃষ্টি (West Bengal Monsoon)৷ পূর্ববর্তী আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছিল, আজই থামবে বর্ষণ৷ তবে আজকের চেহারায় তার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ গতকাল দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পর মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি৷ বেলা বাড়তেই রোদ্দুরের বদলে কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ৷ অঝোর ধারায় ভিজিয়ে দিচ্ছে চরাচর৷ পুজোর আগে আর এক মাসও হাতে নেই৷ এমনিতেই করোনা কেড়ে নিয়েছে প্রাণচঞ্চলতা৷ এই বৃষ্টি মরার উপরে খাঁড়ার ঘায়ের মতো আঘাত করেই চলেছে৷ ব্যবসা বাণিজ্য শিকেয় উঠেছে৷ সুস্থ থাকতে মানুষ এখন বেশি পছ্ন্দ করে৷ তাই করোনা পূর্ববর্তী সময়ে যেমন বৃষ্টিতে ভিজেও পুজোর কেনাকাটার যে ক্রেজ ছিল, তা এখন অতীত৷ আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: দেশে নতুন করোনা রোগী ২৫ হাজার ৪০৪ জন, কমল অ্যাক্টিভ কেস
এমতাবস্থায় কবে কাটবে দুর্যোগ জানতে অধীর বাঙালি৷ আলিপুরের হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, গভীর নিম্নচাপ উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে চাঁদবালির কাছে ওড়িশার স্থলভাগে ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে। যা ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে উত্তর ওড়িশা ও উত্তর ছত্তিশগড়ের দিকে যাচ্ছে। এর প্রভাবেই ওড়িশায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তার জেরেই জেলায় জেলায় চলছে ভারী বৃষ্টিপাত। তবে আগামী ১২ ঘণ্টায় হাওয়ার গতি কিছুটা কমবে। বৃষ্টি চললেও পরিমাণ কমে যাবে৷ বুধবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে৷
অন্যদিকে সমুদ্র উত্তাল থাকায় বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷ টানা বৃষ্টিতে শহরে ফের জল জমার আশঙ্কা রয়েছে৷ আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট বলছে, এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ। ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। তবে বুধবার থেকে এই সমস্ত জেলাতেই কমবে বৃষ্টির পরিমাণ।