সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ফলে এই কয়েকমাস নিজের ও দলের ভাবমূর্তি ধরে রাখা যে বেশ কঠিন কাজ হতে চলেছে সেটা এখন ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গ যখন ভাসছিল, তখন পুজো কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সেই নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল। যার ফলে ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য এই রবিবারও উত্তরবঙ্গ রওনা দিয়েছেন তিনি। এদিকে আবার দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Gang Rape Case) মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতার নিয়ে গতকাল থেকেই প্রশ্ন তুলছিল বিরোধী শিবির। রবিবার এই নিয়ে মন্তব্য করলেও সেখান থেকে জন্ম নেয় অন্য বিতর্কে।

কী বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

রাজ্যের শাসক দলের কাছে বড় ভোটব্যাঙ্ক মহিলারা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে একাধিক প্রকল্পের কারণে মহিলাদের বড় অংশের ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে আসছে। এই অবস্থায় গত বছর থেকেই রাজ্যের মহিলা নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। আরজি করের ঘটনা হোক বা কসবা ল’কলেজ, সবেতেই রাজ্য সরকার চরম সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে। এই অবস্থায় দুর্গাপুরে ভিনরাজ্যের তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, মেয়েদের বেশি রাত করে বেরোনো উচিত নয়। বেশি রাতে বেরোলে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরকেই সুনিশ্চিত করতে হবে।

দেখুন কুণাল ঘোষের মন্তব্য

ড্যামেজ কন্ট্রোল কুণালের

মমতার এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করে রাজনৈতিক মহলে। এই প্রসঙ্গে ড্যামেজ কন্ট্রোল দেওয়ার জন্য আসরে নামেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতার অবশ্য যুক্তি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। উনি কখনই বলেনি যে রাজ্যে মহিলারা রাত বিরেতে বেরোবেন না। তাঁর লক্ষ্য মহিলাদের আরও ক্ষমতা, স্বাধীনতা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। তাঁর মতে মহিলাদের সবসময় রাস্তায় বেরোনোর অধিকার রয়েছে। তবে হোস্টেলের কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম না মেনে কীভাবে তরুণী বেরোলেন, সেখানকার নিরাপত্তার কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।