বর্ষাকালে কলকাতা (Kolkata) সেভাবে আর জল জমে না। নিকাশি ব্যবস্থা আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে। বিগত কয়েকবছর ধরে এই নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নে সটান জবাব দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তবে গত সোমবার রাত থেকে যেভাবে বৃষ্টি হয় মঙ্গলবার দিনভর, তাতে ফের ইস্যু নিয়ে বিরোধী শিবিরের সমালোচনায় বিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। শহরের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কার্যত জলের তলা। ভাসছে গাড়ি, বন্ধ ছিল মেট্রো ও বাস পরিষেবা। যদিও জমা জল নিয়ে কখনও কেন্দ্রের অধিনস্থ বন্দরের দিকে অভিযোগ ঢেলে দিচ্ছেন, কখনও আবার বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর জন্য সিইএসসিকে দোষারোপ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জল কমছে, দাবি কুণাল ঘোষের

এই পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, এই প্রথম কলকাতায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি আগে কখনই কলকাতায় হয়নি। অধিকাংশ জায়গাতেই জল জমে ছিল, সেই সব জায়গা বুধবার সকালের মধ্যেই ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ৮০ শতাংশ জায়গায় জল নেমে গিয়েছে। কিছু জায়গায় জল এখনও আছে, সেই সব জায়গায় দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

দেখুন কুণাল ঘোষের মন্তব্য

বিজেপি শাসিত রাজ্যের প্রসঙ্গ টানলেন কুণাল

কুণাল আরও বলেন, যাঁরা এখন সমালোচনা করছেন সেই বিজেপি নেতারাই যখন তাঁদের শাসিত রাজ্যে এই পরিস্থিতি হয় তখন সমবেদনা জানান। আর এখানে হলেও সমালোচনা শুরু হয়ে যাচ্ছে। মুম্বই, সুরাটে কী অবস্থা হয়, একবার গিয়ে দেখে আসুন। সেখানে তো দীর্ঘ সময় ধরে জল নামে না। এখানে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।