নন্দিগ্রামের পর এবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অধিকারীর টার্গেট ভবানীপুর। ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর ‘নন্দীগ্রাম ২.০’ হতে চলেছে, বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে এমনটাই দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, এবারের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে লড়বেন তিনি। যদিও বঙ্গ বিজেপির তরফে এখন থেকেই এই বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। তবে শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জে তৃণমূল শিবির বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়, তা কিন্তু স্পষ্ট। ফলে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের মমতার অস্তিত্বের লড়াই হতে চলেছে, তা কিন্তু এখন থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
তৃণমূল নেতৃত্বকে আক্রমণ শুভেন্দুর
আসলে সম্প্রতি এসিপি শান্তনু সিনহা বিশ্বাস ভবানীপুরের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে, মদন পাল লেনের স্বরাজ সংঘ ক্লাবে এসে পাড়ার মহিলাদের শাড়ি বিতরণ করছিলেন, সেই সঙ্গে এই কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হচ্ছে, সেও বলে দিচ্ছেন। এই ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন শুভেন্দু। আর তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ না থাকলে এই তৃণমূল দলটারই কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, এটা আমি আগেও বলেছি। এই ভিডিওটা আবারও প্রমান করব। সাধে কি আর আমি মমতা পুলিশ বলি! কারণ এরাজ্যে পুলিশ অনেক আগে থেকেই তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। তবে ভবানীপুরের মানুষ বুঝতে পারছেন এটা সামাজসেবা নয় ভোটের প্রস্তুতি চলছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারতেই হবে ভবানীপুরে। ২০২৬-এ ভবানীপুর নন্দীগ্রাম ২.০ হতে চলেছে”।
ভবানীপুর নিয়ে আশাবাদী কুণাল
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “কোনও ভবানীপুর জিততে পারবেন না শুভেন্দু। নন্দীগ্রামে কী হয়েছিল, লোডশেডিং করিয়ে ভোট জিতেছিলেন তিনি। এটা সকলেরই জানা। এখানে তো আর সেটা হবে না। ভবানীপুর দিদির ছিল, দিদিরই থাকবে। কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবেন না”।