দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Digha Jagannath Temple) প্রসাদ বিতরণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রেশন দোকান থেকে দেওয়া হচ্ছে এই প্রসাদ। যদিও এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। বিজেপির দাবি, এই প্রসাদ নিয়েও দুর্নীতি করছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে প্রসাদ সরাসরি মন্দির থেকে আসছে না, বরং বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টির দোকানে বানানো প্যাড়া বা গজাই প্রসাদ হিসেবে তুলে দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে। এই দাবিও করছে বিজেপি। অভিযোগের পাহাড় এখানেই শেষ নয়। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের অভিযোগ, এই প্রসাদ বানানোর বরাত নাকি মুসলিম মালিকাধীন দোকানগুলিকেও দেওয়া হয়েছে। যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের সমান।
বিজেপি নেতাদের ভুয়ো হিন্দু বলে কটাক্ষ কুণালের
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, যাঁরা এইসব অভিযোগ তুলছে তাঁরা আদৌ হিন্দু বা হিন্দুত্ববাদীদের বিশ্বাসী কিনা, সেই নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। আপনি যখন হিন্দু দেব দেবীকে পুজো করেন, তখন যে ফুল অর্পণ করেন, তখন কী জানতে চান যে এই ফুলটি কোন বাগান থেকে আনা হয়েছে বা কে ফুল চাষ করেছে? তাহলে প্রসাদ নিয়ে এত প্রশ্ন কেন? প্রসাদ একটা আশির্বাদের প্রতীক।
দেখুন কুণাল ঘোষের মক্তব্য
#WATCH | Kolkata: On Digha Jagannath temple controversy, TMC leader Kunal Ghosh says "Those who are spreading false narratives regarding Digha Jagannath temple prasad and protesting by calling themselves Hindus are fake Hindus... One should have faith in God. Prasad is a symbol… pic.twitter.com/vEv2UiB05m
— ANI (@ANI) June 22, 2025
বঙ্গ বিজেপির নেতাদের আক্রমণ
কুণাল আরও বলেন, কে বানাচ্ছে সেটার থেকেও বড় কথা যখন সেটি ভগবানের কাছে নিবেদন করা হচ্ছে, তখন থেকেই সেটা ভগবানের প্রসাদ। এটাই তো হিন্দু রীতি। আসলে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে কখন ভগবানের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে দিয়েছে, সেটাই তাঁদের আন্দাজ নেই। যাঁরা ৩০ কিলোমিটার দূরে জগন্নাথ মন্দিরে যেতে পারলেন না, তাঁদের মুখে প্রসাদ নিয়ে এত বড় বড় কথা মানায় না।