NCRB Suicide Report: মুম্বই, দিল্লিকে পিছনে ফেলে আত্মহত্যার ঘটনায় এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ
সময় যত এগোচ্ছে জটিল হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকা। অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি, সামাজিক সমস্যা এবং মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যা (Suicide) করছে শত সহস্র মানুষ। NCRB- র রিপোর্ট ভয় পাওয়ার মত। গত ২০১৮-তে প্রত্যেক ৪ মিনিটে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে একাধিক আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটেছিল। NCRB-র রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের মধ্যে নিরক্ষর, দিন মজুর ও গৃহিণীর সংখ্যাই বেশি।
মুম্বই, ১০ জানুয়ারি: সময় যত এগোচ্ছে জটিল হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকা। অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি, সামাজিক সমস্যা এবং মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যা (Suicide) করছে শত সহস্র মানুষ। NCRB- র রিপোর্ট ভয় পাওয়ার মত। গত ২০১৮-তে প্রত্যেক ৪ মিনিটে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে একাধিক আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটেছিল। NCRB-র রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের মধ্যে নিরক্ষর, দিন মজুর ও গৃহিণীর সংখ্যাই বেশি।
তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অন্তত ১৩, ৮৯৬ জনের আত্মহত্যার রিপোর্ট পাওয়া গেছে NCRB থেকে। এর ঠিক পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২০১৮-র রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) প্রায় ১৩,২৫৫ জন আত্মহত্যা করে মারা গেছে। বাকি ৪ মেট্রো শহরগুলিতে আত্মহত্যার সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন, নৈহাটি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করবে সরকার, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এর মধ্যে বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে (Mumbai) তথা মহারাষ্ট্রে সব থেকে কম। ১,১৭৪ জনের আত্মহত্যার ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে মুম্বইয়ে। সেই হিসেবে দিল্লিতে (Delhi) সংখ্যাটা একটু বেশি, ২, ৩৬৯। চেন্নাইতে এর সংখ্যা ২,১০২। বেঙ্গালুরুতে আত্মহত্যার সংখ্যা ২, ০৮২। সমীক্ষায় দেখা গেছে, দিন মজুর কিংবা নিরক্ষর ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। এর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদে তারা কোনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া নিয়ে অবগত নয়। যার ফলে তাদের মধ্যে সংখ্যাটা বেশি। এছাড়াও দশম শ্রেণী বা তার আগের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি ঘটছে। পারিবারিক সমস্যার জন্য বহু পুরুষ আত্মহত্যা করার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। গলায় দড়ি বা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার সংখ্যাটা বেশি।