হাঁসের খাবারের জন্য পুকুর থেকে গুগলি তুলছিলেন এক ব্যক্তি। পুকুরের পার অপরিস্কার করা নিয়ে শুরু হয় বচসা। সেখান থেকে হয়ে গেল শুটআউটের (Shootout) মতো পরিস্থিতি। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হুগলির সাহাগঞ্জে। কার্যত এক প্রৌঢ় ওই যুবক এবং তাঁর মাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আর সেই গুলিতেই আহত হন দুজনে। এরপর তড়ঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত তাঁরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত সুনীল দেবনাথ নামে ওই বৃদ্ধ ঘটনার পর থেকে থেকে পলাতক।
পুকুর পার অপরিস্কার নিয়ে বচসা
জানা যাচ্ছে, সাহাগঞ্জের ঝাঁপপুকুর এলাকায় অবস্থিত একটি পুকুরে গুগলি তুলতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা সুরজিৎ বসু। অভিযোগ, জায়গাটি অপরিস্কার হচ্ছে বলে প্রথমে প্রতিবাদ করেন সুনীল। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা হয়। এমনকী ঝগড়া থামাতে সুরজিৎ বলেন যে কাজ হয়ে গেলে পুকুর পাড় পরিস্কার করে দেবেন। কিন্তু তার পরেও ঝগড়া থামে না। উল্টে সুনীল সুরজিৎকে ধাক্কা মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। পুকুর থেকে উঠতেই কাটারি দিয়ে আক্রমণ করতে যায় সুনীল। এরমধ্যে সুরজিতের মা সুভদ্রা বসু বচসা থামাতে এগিয়ে আসেন। তখন ঘর থেকে বন্দুক বের করে দুজনের উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়েন সুনীল।
অভিযুক্ত পলাতক
গুলির আওয়াজ শুনে এলাকাবাসীরা জড়ো হয়ে যায়। প্রতক্ষ্যদর্শীরা দেখেন আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন সুরজিৎ ও সুভ্রদা। তারপরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি গা ঢাকা দেন সুনীল। ঘটনাস্থলে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে অন্তর্গত চুঁচুড়া থানার পুলিশ এসে সুরজিৎ ও সুভদ্রাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আপাতত সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা হচ্ছে।