প্রেসিডেন্সিতে জয়ী এসএফআই প্রতিনিধিদের উল্লাস (Photo Credit: Twitter)

কলকাতা, ১৫ নভেম্বর: প্রথমে দিল্লির জেএনইউ (JNU) পরে হায়দরাবাদ স্বপ্ন দেখিয়েছিল। এবার সেই স্বপ্নের পথে হেঁটে বাস্তবের মাটিতে লাল পতাকা ওড়াল কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় (Presidency University)। দীর্ঘ নয় বছর পর ফের প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদের দখল (Student's Union election) নিল এসএফআই (SFI)। সভাপতি পদে জিতেছেন মিমোসা ঘরাই, সহ সভাপতি পদে অঙ্কিতা মুখোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক পদে সৌরেন মল্লিক, সহ সাধারণ সম্পাদক পদে দীপ্রজিত দেবনাথ এবং ছাত্রী কমনরুম সম্পাদক পদে জিতেছেন শ্রুতি রায়চৌধুরী। এই নির্বাচনে এসএফআই এবং এআইএসএফ আলাদা লড়েছে। সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠনও দুটি ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ আসনে জয়ী হয়েছে। এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, “এটা প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের জয়।”

উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই বছর পরে প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র ভোট হল। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের পাশাপাশি গণনাও হয়। ট্রেন্ড ভালই বোঝা গিয়েছিল, যত সময় গড়িয়েছে ততি এসএফআই শিবিরের হাসি চওড়া হয়েছে। এই প্রথম গার্লস কমন রুমেও জিতে গেল এসএফআই-এর প্রতিনিধি। একটা সময় পর লাল আবীরে রেঙে উঠল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। তারা জিতেছে ৫৮টি আসনে। সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও গার্লস কমন রুমের প্রতিনিধি-পদে জয়ী এসএফআই। সভাপতি পদে ১০৮৫, সহ-সভাপতি পদে ৯৯৯, সাধারণ সম্পাদক পদে ৮৪০। সহ-সম্পাদক পদে ৯১৯ এবং গার্লস কমন রুমের প্রতিনিধি পদে ৪১১টি ভোট পেয়েছে তারা। আরও পড়ুন-Delhi Air Pollution: জোড়-বিজোড় নীতির শেষ দিনেও রাজধানীতে চড়া দূষণ, মুক্ত আকাশ পেতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পড়ুয়াদের

এই জয়ের পর এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য জানান, তাঁরা বামপন্থী আইসা ও এআইএসএফ-কেও তাঁদের সঙ্গে আসতে বলছেন। সৃজন বলেন, ‘‘আমরা বাম ঐক্যের পক্ষে। এই জয় প্রমাণ করল, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছাত্রভোট হলে প্রথম পছন্দ এসএফআই। তবে আমরা শুধু এসএফআইয়ের জয় দেখতে চাইছি না। দেখতে চাইছি, তৃণমূল এবং এবিভিপি-কে প্রত্যাখ্যান করছেন বাংলার ছাত্রছাত্রীরা। আগামী দিনেও রাজ্য জুড়ে গণতান্ত্রিক ভাবে ছাত্রভোট হলে পড়ুয়ারা তৃণমূল ও বিজেপি-কে প্রত্যাখ্যান করবেন।’’ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী এসএফআই-কে তার কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশিষ্ট বামনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। টুইটবার্তায় জানিয়েছেন শুভেচ্ছা।