কলকাতা, ১৫ নভেম্বর: অবশেষে আগামিকাল, মঙ্গলবার থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ আর নয়! এবার সরাসরি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (Teachers) সামনে বসে ঠিক আগের মতো ক্লাস(Class)! পাশে থাকবে বন্ধুরা। কারণ ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে(West Bengal) খুলছে স্কুল(School)। কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায়। এক প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের স্কুল কলেজ খোলার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর সেই নির্দেশ মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য স্কুল, কলেজে ঝাড়পোঁচ ও স্যানিটাইজেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে। ছাত্রদের কীভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার ব্যাপারে উত্সাহী করে তোলা হবে সেটাই এখন শিক্ষকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সবেমিলিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে।
তবে স্কুল খোলার আগে রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলে ব্যস্ততা তুঙ্গে। কোথাও কোথাও একটি বেঞ্চে ২ জন পড়ুয়াকে বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বহু স্কুল কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা হল স্কুলে ঢোকার মুখে প্রতিটি পড়ুয়ার শরীরের তাপমাত্রা মাপতে থার্মাল স্ক্যান করা হবে। তারপর হাত স্যানিটাইজ করে মুখে মাস্ক দিয়ে তবেই স্কুলে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। আরও পড়ুন: Delhi Air Pollution: বায়ু দূষণ কমাতে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে যেতে তৈরি দিল্লি
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই স্কুল-মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। স্কুল খোলার বিষয়ে আপাতত হস্তক্ষেপ করতে নারাজ হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, আইনি জটিলতা কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে ফের খুলছে রাজ্যের স্কুলগুলি(School Reopening)।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা স্কুলের পরিকাঠামো কতটা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সুবিধেজনক রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তার ওপর ক্লাসের নয়া সময়। কাল ক্লাসের ঘণ্টায় পদে পদে নতুন রুটিনে তাল কাটতে পারে পুরোনো ছন্দের। দেড় বছর পর খুলছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি। অফলাইন ক্লাসে থাকবে কোভিড গাইডলাইনের(School Reopening) কড়াকড়ি। জেলায় জেলায় এখনও কাটেনি শিক্ষামহলের দুশ্চিন্তা। শেষমূহুর্তে সংস্কার সাফাইয়ের হুড়োহুড়ি চলছে। পরিবহণ নিয়েও উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।