সারদার ২৯ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চান, ফের ইডির জেরার মুখে শতাব্দী রায়
সারদা থেকে পাওয়া ২৯ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চেয়েছিলেন। ফের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগেও সারদা কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদকে জেরা করেছিল সিবিআই ও ইডি। প্রসঙ্গত, সারদা তথা চিটফান্ড তদন্তে নেমে সাধারণ মানুষের টাকা লুঠের ঘটনার নেপথ্য ষড়যন্ত্র অনুসন্ধান করে দেখছে সিবিআই। আর সেই টাকা কী ভাবে বেহাত হয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
কলকাতা, ৮ আগস্ট: সারদা থেকে পাওয়া ২৯ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চেয়েছিলেন। ফের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগেও সারদা কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদকে জেরা করেছিল সিবিআই ও ইডি। প্রসঙ্গত, সারদা তথা চিটফান্ড তদন্তে নেমে সাধারণ মানুষের টাকা লুঠের ঘটনার নেপথ্য ষড়যন্ত্র অনুসন্ধান করে দেখছে সিবিআই। আর সেই টাকা কী ভাবে বেহাত হয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এখন নিজেথেকে টাকা ফেরত দিতে চাইলেও জেরার প্রথম দিকে কিন্তু তাঁর সঙ্গে সারদা যোগ মানতেই চাননি এই অভিনেত্রী সাংসদ। আরও পড়ুন-মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে তো, মেনে নিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
তবে দ্বিতীয়বার ইডির নোটিস পেতেই শতাব্দী রায় মুখ খোলেন। জানান তাঁর কাছে ২৯ লক্ষ টাকা আছে। যা তিনি সারদা থেকে পেয়েছেন এবং ফেরতও দিতে চান। এরপরেই ইডির তরফে ফের শতব্দীকে জেরার তোরজোর শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১১ সালের পর থেকে সারদা থেকে শতাব্দী কেন, কোন খাতে মোটা টাকা নিয়েছিলেন সে ব্যাপারেই মূলত তাঁর কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হবে। এছাড়াও সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে কার মাধ্যমে তাঁর প্রথম যোগাযোগ হয়েছিল, চুক্তির শর্ত কী ছিল, এ ব্যাপারে কোনও লিখিত চুক্তি ছিল কিনা সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হতে পারে। এদিকে এতদিন অস্বকারের পর কেন আচমকা সারদার সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি অভিনেত্রী খোলসা করলেন তানিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সারদা-র থেকে কোন খাতে ওই টাকা নিয়েছিলেন শতাব্দী। তাঁকে পারিশ্রমিক দেওয়ার কোনও কারণ তো থাকবে? তা ছাড়া এতোদিন পর কেন টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলছেন তিনি! আগে কেন তাঁর বিবেক জাগ্রত হয়নি। তদন্ত এজেন্সি-র সূত্রে বলা হচ্ছে, তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তাপস পাল সারদার হয়ে অনেক জায়গায় চিঠি লিখেছিলেন। শতাব্দীও সে রকম কিছু করেছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে তৃণমূল সাংসদদদের নোটিস ধরিয়েছে ইডি, ইটি কিন্তু নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দ হয়নি। তিনি ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মোকাবিলার ডাক দেন। তবে শতাব্দী ছাড়াও ইডির নোটিস পেয়েছেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। এতদিন সংসদের অধিবেশনের কারণে ইডির তলবে সাড়া দিতে পারেননি। বুধবার বাদল অধিবেশন শেষ হতেই সাংসদ শতাব্দী রায় ইডি-র দপ্তরে চলে এলেন। তবে ডেরেক কবে আসবেন তানিয়েই চলছে জল্পনা।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)