কলকাতা, ৭ মার্চ: আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) ব্রিগেড সমাবেশ (Brigade Meeting)। ওই সমাবেশ মঞ্চ রয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Actor Mithun Chakraborty)। মিঠুনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

লাইভ আপডেট:

মোদির বক্তব্য:

  • কলকাতার ভাই-বোনদের আমার প্রণাম
  • রাজনীতিতে অনেক জনসভা করার সুযোগ পেয়েছি। তবে আমার জীবনে এতবড় জনসভা দেখিনি।
  • রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে।
  • হেলিকপ্টার থেকে দেখছিলাম ময়দানে এক ফোঁটা জায়গা নেই। কিন্তু দেখছিলাম সব রাস্তায় মানুষ দৌড়ে সমাবেশে আসছেন।
  • জ্ঞান ও বিজ্ঞানে বাংলার অবদান অনেক।
  • বাংলার মাটি আমাদের সংস্কার তুলে ধরেছে।
  • স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার মাটি প্রেরণা যুগিয়েছে। বাংলার মনীষীরা এক ভারত, শক্তিশালী ভারত গড়তে সাহায্য করেছেন।
  • গত দশকে ব্রিগেডে বহুবার স্লোগান উঠেছে ব্রিগেড চলো।
  • কিন্তু এই ব্রিগেড উন্নয়নে বাধা দেওয়ারও সাক্ষী।
  • ধর্মঘটের নীতি নির্ধারণের সাক্ষীও এই ব্রিগেড।
  • বাংলা পরিবর্তনের আশা কখনও ছাড়েনি।
  • দিদির ওপরে ভরসা করেছিলেন বাংলার মানুষ।
  • বাংলার ভরসা ভেঙেছেন দিদি।
  • বাংলা চায় শান্তি, উন্নতি ও প্রগতি।
  • বাংলা চায় শান্তির বাংলা, সোনার বাংলা ও প্রগতিশীল বাংলা।
  • বাংলার মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করেছেন।কিন্তু বাংলার মানুষের ইচ্ছাশক্তি ভাঙতে পারেনি।
  • আজকের এই সমাবেশ তারই সাক্ষী।বাংলা চায় উন্নতি, শান্তি, প্রগতিশীল বাংলা, সোনার বাংলা। এবারের
  • ভোটে একদিকে তৃণমূল, বাম-কংগ্রস ও তাদের বাংলা বিরোধী কাজ।
  • আর অন্যদিকে বাংলার মানুষ কোমর বেঁধে তৈরি হয়েছেন।
  • সব ক্ষেত্রের মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করছেন।
  • সবার একটাই ইচ্ছা বাংলাকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দেওয়া।
  • বিজেপি যে সরকার গড়বে সেখানে বাংলার মানুষের উন্নয়নই শেষ কথা হবে।
  • বিজেপি সরকারের প্রেরণা হবে আসল পরিবর্তনের মন্ত্র।আসল পরিবর্তন মানে যুবকদের কর্মসংস্থান। আসল পরিবর্তন মানে মানুষ পালাবে না এখান থেকে। আসল পরিবর্তন মানে একবিংশ শতকে আধুনিক পরিকাঠামো। আসল পরিবর্তন মানে গরিব মানুষেরও সার্বিক উন্নতি।আসল পরিবর্তন মানে সব ক্ষেত্রের মানুষের সমান যোগদান।
  • উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বা জঙ্গলমহল সবপক্ষের উপরই সমান নজর থাকবে।
  • আজ আমাদের মাঝে বাংলার ছেলে মিঠুনদা রয়েছেন।তাঁর লড়াই সবার কাছে দৃষ্টান্ত।অনেকের মতে আজই ২ মে চলে এসেছে। সোনার বাংলার সংকল্প নিশ্চয় পূরণ হবে।আসল পরিবর্তনের জন্য মানুষ আজ ব্রিগেডে এসেছেন।
  • এই ব্রিগেড থেকে আমি আসল পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বাংলার পুনর্নির্মাণ, সংস্কৃতির রক্ষা, শিল্প তৈরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।বাংলার মানুষের উন্নতির জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করব।প্রতি মুহূর্তে আপনাদের জন্য বাঁচব, আপনাদের সেবা করব। প্রতি মুহূর্তে কাজের মধ্যে দিয়ে আপনাদের মন জিতব।
  • এখানে অনুপ্রবেশকারীদের রুখে দেওয়া হবে।
  • স্বাধীনতার পর এই ৭৫ বছরে বাংলার থেকে যা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তা আপনারা ভাল জানেন। বাংলার থেকে যা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তা ফিরিয়ে দিতে হবে।
  • দেশের মতো বাংলার উন্নয়নের জন্য আগামী ২৫ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরের ৫ বছর তার ভিত্তি তৈরি করবে। শুধু বাংলার উন্নয়নের জন্য ভোট নয়, দেশ গঠনের জন্য ভোট দিন।
  • স্বাধীনতার শতবর্ষে বাংলা আরও একবার দেশের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছবে।
  • কলকাতা সিটি অফ জয়, ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। কলকাতাকে সিটি অফ ফিউচার বানাতে হবে। কলকাতাকেও সেরা শহরের তালিকায় নিয়ে আসতে হবে। কলকাতা মেট্রোর সম্প্রসারণ এখন আরও দ্রুত হচ্ছে।এদের কমিশনবাজির জন্য কলকাতা বিমানবন্দরের কাজ আটকে আছে।
  • বিজেপির সরকার তৈরির পর ঝুপড়িবাসীদের পাকা বাড়ি দেওয়া হবে। অন্যান্য শহরেরও আত্মনির্ভর ভারত গঠনের সম্ভাবনা আছে।
  • বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে যুব সমাজ থেকে বয়স্কদের জন্যও প্রকল্প। আসল পরিবর্তনের জন্য পঞ্চায়েত স্তরেও উন্নয়ন প্রয়োজন।বাংলায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা শেষ করা দেওয়া হয়েছে।
  • বিজেপি ক্ষমতায় এসে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা পুনরায় গড়ে তোলা হবে।
  • রাষ্ট্রীয় শিক্ষা নীতি বাংলায় প্রণয়ন করা হবে।
  • ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি বাংলা ভাষায় পড়ানো হবে। প্রান্তিক পড়ুয়ারা ইংরেজি না জানলেও ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি পড়তে পারবে।
  • বাংলার মানুষের মনে রাখা উচিত বারবার তাদের সঙ্গে ছলনা করা হয়েছে।স্বাধীনতার পর কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে কিছুটা কাজ করেছিল। তারপর ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি শুরু হয়।
  • এরপর বামপন্থীরা এসে বলেছিল কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও। এই বামপন্থীরাই বাংলায় ৩৪ বছর শাসন করেছে। সেই কালো হাত আজ সাদা হল কী করে!যে হাতকে ভাঙতে চেয়েছিল, সেই হাতের আশীর্বাদ নিতে হচ্ছে।
  • বামদের বিরুদ্ধে মমতা লড়াই করে মা-মাটি মানুষের স্লোগান তুলেছিলেন।কিন্তু বাংলার সাধারণ মানুষের কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে?  কৃষক, শ্রমিকের জীবনে কোনও পরিবর্তন এসেছে? গরিব মানুষকে আরও গরিব করা হয়েছে। খুনের রাজনীতির কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে?
  • বাংলায় মা-মাটি-মানুষের কী অবস্থা আপনারা জানেন। ঘরে ঢুকে মায়েদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে তা দেশ দেখছে। ৮০ বছরের মায়ের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা দেশ দেখেছে। গত ১০ বছরে বাংলার প্রত্যেক মা চোখের জল ফেলেছেন।
  • মাটির নামে এখন বাংলায় সিন্ডিকেট চলছে।
  • বাংলা এখন এক স্বরে বলছে ‘আর নয় অন্যায়’। দিদি শুনতে পাচ্ছেন, এটা বাংলার আওয়াজ।
  • বাংলার মানুষ একটাই প্রশ্ন করছে, তাঁরা আপনাকে দিদির ভূমিকায় দেখতে চেয়েছিল।কিন্তু আপনি নিজেকে একজন ভাইপোর পিসি হয়ে কেন থাকলেন?বাংলার লক্ষ লক্ষ ভাইপো-ভাইঝির আশাপূরণ না করে নিজের ভাইপোর শুধু উন্নতি কেন করলেন? কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের পথেই আপনি কেন হাঁটলেন।
  • কিছুদিন আগে আপনি স্কুটি চালাচ্ছিলেন। ভাল হয়েছে আপনি পড়ে যাননি, তাহলে যে রাজ্যে স্কুটি তৈরি হয়েছে সেই রাজ্যকেই শত্রু ভেবে বসতেন। কিন্তু আপনার স্কুটি ভবানীপুরের বদলে নন্দীগ্রামের দিকে ঘুরে গেল। কিন্তু স্কুটি নন্দীগ্রামে পড়ে গেলে আমি কী করব!
  • আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগে বাংলার মা-মেয়েদের প্রণাম। বাংলায় আজও জলকষ্ট, কেন্দ্রের জল জীবন মিশন প্রয়োজন। আজও বাংলায় দেড় কোটি মানুষের ঘরে জল পৌঁছয় না। গরিবদের নিয়েও রাজনীতি করতে হবে! কিন্তু আফশোস তৃণমূল সরকার গরিবদের নিয়েও রাজনীতি করে। কেন্দ্রের টাকা আজ পর্যন্ত খরচ করতে পারেনি তৃণমূল সরকার।
  • দিদি ঠিক করে নিয়েছেন, কাজ করবও না, করতেও দেব না। আমরা যা বলি তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করি। বিরোধী বলেন, আমি নাকি বন্ধুদের জন্য শুধু কাজ করি।আমার বন্ধু গরিব মানুষ, আমি তাঁদের জন্য কাজ করি। করোনার সময় গরিব বন্ধুদের রেশন দিয়েছি, গ্যাস সিলিন্ডার দিয়েছি। করোনার ভ্যাকসিন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে করে দিয়েছি। ঝুপড়িতে জন্ম নেওয়া শিশুও আমার বন্ধু। বাংলায় আমার এই বন্ধুদের জন্য আরও কাজ করব।
  • বাংলার সরকার আটকে দিচ্ছে, কিন্তু কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চাই। আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে বাংলার মানুষের সেবা করতে চাই। এবার বলুন, বন্ধুত্ব চান, না তোলাবাজি। আমার বন্ধুত্বে ভয় পেয়ে বলতে শুরু করেছেন খেলা হবে।
  • সত্যিই আপনারা অনেক বড় খেলোয়াড়। বাংলার মানুষকে লুঠ করেছেন। মানুষের জীবন নিয়ে আপনারা খেলা করেছেন।
  •  ভয় পাবেন না, নির্ভয়ে বিজেপিকে ভোট দিন। কুশাসনের বিরুদ্ধে ভোট দিন। বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে ভোট দিন।সরকারি কর্মচারীদের বলছি, রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করবেন না।
  • তৃণমূলও কংগ্রেস থেকেই তৈরি হয়েছে, এরাও বহিরাগত। কিন্তু  শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের তৈরি দল বিজেপি তৈরি হয়েছে বাংলার থেকে। পদ্মে বাংলার মাটির সুবাস রয়েছে। তাই বলা হয়েছিল, লোকসভায় টিএমসি হাফ, এবার পুরো সাফ। লোকসভা ভোটে মন্ত্র ছিল চুপচাপ পদ্মে ছাপ। এবার জোরসে ছাপ, টিএমসি সাফ।
  • রাগের মাথায় আমায় কখনও রাবণ, দানব, দৈত্য, গুণ্ডা বলছেন। দিদি এত রাগ কেন? কথায় কথায় গালাগাল, এত রাগ কেন দিদি? আজ বাংলায় পদ্ম ফুটছে কারণ আপনার দল পাঁক ছড়িয়েছে।
  • দিদিকে আমি বহু বছর ধরে চিনি। দিদি এখন সেই দিদি নেই যে বামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, এখন দিদির রিমোর্ট কন্ট্রোল অন্য কারও হাতে রয়েছে।
  • বিজেপির লোকদের বহিরাগত বলছে। কংগ্রেস যাঁরা তৈরি করেছিল তাঁরা বহিরাগত ছিল না।

 

 

ব্রিগেড সভাস্থলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

'নরেন্দ্র মোদি স্বাগতম' স্লোগানে স্বাগত জানানো হল প্রধানমন্ত্রীকে।

রেসকোর্স পৌঁছল নরেন্দ্র মোদির কপ্টার।

কলকাতায় নেমে টুইট প্রধানমন্ত্রীর:

আজকের দিনটা স্বপ্নের মতো। মান্যবর নরেন্দ্র মোদি এখানে আসছে, এটা স্বপ্ন নয়তো কি! আমি গরিবদের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখেছিলাম ১৮ বছর বয়সে। আজ সেই স্বপ্ন আমি সফল হতে দেখতে পাচ্ছি। আমি বাঙালি, গর্বিত বাঙালি। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, রাণী রাসমণি, বিদ্যাসাগর এরা আসল বাঙালি। 'মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে', আওড়ালেন তা নয়, 'আমি জলঢোরাও নই, বালিবোড়াও নই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি', লক্ষ লক্ষ জনতার মন জিতলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

ব্রিগেডের মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘এরা ফিরে এলে পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর হবে যাঁদের মেরুদণ্ড আছে, তাঁরা ওই দলে থাকতে পারবেন না। মিঠুনদা ব্রিগেডে এসেছেন, আগামী প্রজন্মের ধ্বংস হওয়া আটকাতে। জনগণের দ্বারা পরীক্ষিতরা এসেছেন আজকের ব্রিগেডে’। 

কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে কপ্টারে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছবেন রেসকোর্স। সেখান থেকে আসবেন ব্রিগেড সভামঞ্চে।

 

বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত থেকে তুলে নেন বিজেপির দলীয় পতাকা।

ব্রিগডে পৌঁছলেন দীনেশ ত্রিবেদী

ব্রিগডে পৌঁছলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

ব্রিগডে পৌঁছলেন মিঠুন চক্রবর্তী

ব্রিগেডে মোদির সঙ্গে মূল মঞ্চে থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী, বাবুল সুপ্রিয়, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা

ব্রিগেডের পথে মিঠুন চক্রবর্তী। পরনে ধুতি পাঞ্জাবি। তাঁর গাড়ি ঘিরে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।

আজ মোদির ব্রিগেডে থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী। রাতেই কলকাতায় এসেই বেলগাছিয়ায় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

দূর-দূরান্তের জেলা থেকে কলকাতায় বিজেপি কর্মীরা।