বাজি। (Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ১ নভেম্বর: রবিবার পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (West Bengal Pollution Control Board) জানিয়েছে যে এই দীপাবলির (Deepabali 2020) সময় ৯০ ডেসিবলের উপরে বাজি (Crackers) ফাটানো যাবে। এই সংক্রান্ত নিয়ম বলবৎ থাকবে। তারা আরও জানিয়েছে যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রাজ্য এবং কেন্দ্রের সমস্ত পরামর্শগুলি কঠোরভাবে মেনে চলা হবে। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব রাজেশ কুমার বলেছেন, ৯০ ডেসিবলের উপরে শব্দবাজির চালান আটকাতে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছে তারা।

তিনি জানিয়েছেন, অবিলম্বে অবৈধ আতশবাজি তৈরির ইউনিটগুলিতে অভিযান চালানো হবে। আতশবাজি থেকে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা যাতে ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষতি না করে, বিশেষত মহামারীর মধ্যেও যাতে ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি পিটিআইকে বলেন, "আমরা সরকারের সুপারিশ মেনে চলব। এখনও পর্যন্ত, আমরা অনুমতিপ্রাপ্ত শব্দের থেকে বেশি শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করব। তবে হ্যাঁ, আমাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।" আরও পড়ুন: Astrologer Jayanta Sastri Died: বাড়িতে আগুন লেগে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু জ্যোতিষী জয়ন্ত শাস্ত্রীর

রাজেশ কুমার আরও বলেছেন যে সরকারি বিধিগুলি সম্পর্কে অবহিত করতে আলোর উৎসব আয়োজনে জড়িত সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন যে দুর্গাপুজোর সময় যেমন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সেই রমক নির্দেশ দীবাবলির সময় দিলে তারা তা মেনে চলবেন।

হাওড়ার এক বাসিন্দা মহামারীর মধ্যে আতশবাজি বিক্রি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ করার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা করার পরিকল্পনা করছেন। রাজ্যের চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে শব্দবাজি ব্যবহারে বিধিনিষেধ চেয়েছে। তাদের বক্তব্য, ধোঁয়া করোনা আক্রান্তদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এক সিনিয়র কর্তা বলেছেন, যদি বর্তমান আইনে আওতায় সম্ভব হয়, তবে কোভিড হাসপাতালের আশপাশে, সেফ হোম ও কোয়ারান্টিন সেন্টারগুলিতে শব্দবাজি ফাটানোয় নিষিদ্ধ আরোপ করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। ওই অফিসার জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ও পুলিশ এই বিষয়ে নজরদারি চালাবে।