তৃণমূল গেলে বাংলায় আসল পরিবর্তন আসবে। উন্নয়ন হবে। শুক্রবার দুর্গাপুরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়েই এই স্বরে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সাম্প্রতিক একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন তিনি। আর এই নিয়ে আজ রাজ্য রাজনীতি সরগরম। প্রধানমন্ত্রীর এই বেনজির আক্রমণে জবাব দিয়েছে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রীর সভা শেষের পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী শশী পাঁজা ও কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) মিলে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন। উঠেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যের ধর্ষণ প্রসঙ্গ থেকে বকেয়া টাকা আটকে রেখে বাংলাকে বঞ্চনা প্রসঙ্গ।

দুর্গাপুরের মঞ্চে উলটপুরাণ

তবে এরমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর হিন্দু দেবীদের নিয়ে ভক্তি প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না কুণাল। আসলে সম্প্রতি বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে যেদিন দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেদিন অনুষ্ঠানে মা কালীর ছবি ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে আবার শুক্রবার দুর্গাপুরের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মোদীর গলায় জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী ধ্বনি শোনা গেল। ফলে এই নিয়ে ফের সমালোচনার আসরে তৃণমূল। আসলে বাংলায় অধিকাংশ সভামঞ্চে যোগ দিয়ে মোদীর গলায় শোনা যেত ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান। কিন্তু এদিন দুর্গাপুরে ঘটল উলটপুরাণ।

দেখুন কুণাল ঘোষের মন্তব্য

মোদীর দেবীভক্তি নিয়ে কটাক্ষ কুণালের

কুণাল বলেন, “বাংলায় উনি পরিবর্তন চাইছেন। কিন্তু ২০১১ সালে যে পরিবর্তন হয়েছিল, তারপর থেকে রাজ্যে উন্নতি হচ্ছে। বাংলার মানুষের কাছে সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। তবে অন্য কোথাও পরিবর্তন হোক বা না হোক, প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। উনি রামনাম ছেড়ে মা দুর্গা, মা কালীর ভক্ত হয়ে গিয়েছেন। আমরা এই নিয়ে রাজনীতি করি না। তাই আমরা রামজিকেও ভক্তি করি, অন্যদিকে বাকি দেবদেবীদেরও ভক্তি করি। কিন্তু উনি যে রাজনৈতিক স্বার্থে হিন্দু দেবদেবীর নাম ব্যবহার করেন, তা কিন্তু স্পষ্ট”।