বিরাটি, ২১ নভেম্বর: শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আগের দিন করোনাকে জয় করে সশরীরে অ্যাম্বুলেন্সে চেপে বাড়ি ফিরলেন খাতায় কলমে মৃত ব্যক্তি। গত ১৩ নভেম্বর আসে বিরাটির (Birati) বাসিন্দা শিবদাস ব্যানার্জির মৃত্যুর খবর। পরিবার খোঁজ পায় করোনার জেরে মারা গেছেন পরিবারের প্রধান। সৎকারের জন্য হাসপাতালের থেকে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। তারপর তারা শুরু করে বিভিন্ন নিয়মপালনের কাজ। শনিবার ছিল শ্রাদ্ধ। শ্রাদ্ধের আগের রাতেই হাজির হন তিনি।
বারাসাতের (Barasat) জি এন আর সি হাসপাতালে জানায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, করোনা বিধি মেনে দূর থেকে দেখানো হবে মৃতকে, হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে দাহ করা হবে। তাই হয়। শোকাহত হয়ে পরিবারের মানুষ ব্যস্ত ছিলেন শ্রাদ্ধের কাজকর্মে। হঠাৎ তাঁর বেঁচে থাকার খবর পেয়ে পরিবারের চক্ষু চড়কগাছ। আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র
কিন্তু এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে? এই খবরের সঙ্গে জড়িয়ে আরও এক করোনা ব্যক্তি। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, মোহিনী মোহন গোস্বামী পরিবারকে ফোন করে ওই সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল জানায় তাদের রোগী সুস্থ হচ্ছে। রোজই ফোন করে খবর নেয় পরিবার। ফোনের ওপার থেকে প্রত্যেকবারই জানানো হয়, রোগী একটু একটু করে ভালো হচ্ছে। কিন্তু ঘটনা ঘুরে খায় শুক্রবার। হঠাৎ হাসপাতাল থেকে গোস্বামী পরিবারে ফোন করে বলা হয় রোগী সুস্থ হয় বাড়ি ফিরছে। অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার পর রোগী অ্যাম্বুলেন্সের চালককে বলেন বিরাটি যাব, গোস্বামী পরিবার বলেন পলতা। এরপরই তারা দেখেন রোগী তাদের নয়। তখনই, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়। ১৩ নভেম্বর যিনি মারা গিয়েছিলেন তিনি হলেন মোহিনী মোহন গোস্বামী। অন্যদিকে, গোস্বামী পরিবারকে যে রোগীর সুস্থ হওয়ার খোঁজ দেওয়া হচ্ছিল তিনি ছিলেন করোনা জয়ী শিবনাথ বাবু।
ঘটনার পর, করোনা মৃত্যু বিভ্রাট নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করে স্বাস্থ্য ভবন। ৩ জনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই গাফিলতির জন্য দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।