দেশের প্রধানমন্ত্রী হোক বা কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কিংবা মন্ত্রিসভার মন্ত্রী, ৩০ দিন জেলবন্দি থাকলেই পদত্যাগ করতে হবে। বাদল অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ১৩০ সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করতেই তুমুল হই হট্টোগোল শুরু হয় লোকসভায়। বিরোধী সাংসদরা চরম বিরোধীতা জানান এই বিলেন। অধিবেশন শেষ হওয়ার পরেও দেশের রাজনীতিতে এই নিয়ে এখনও চলছে জোড় তরজা। কেন্দ্রের এই বিলের বিরোধীতা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্রের মতো তৃণমূল সাংসদরা। অন্যদিকে তৃণমূলের এই বিরোধীতা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

গ্রেফতার হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও

এবার এই বিলের সমর্থন করতে দেখা গেল প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামণিককে (Nisith Pramanik)। তাঁর মতে, কোনও সরকারি কর্মী যখন জেলবন্দি হয় তখন তাঁকে কর্মক্ষেত্রেও সাসপেন্ড হতে হয়। সেখানে কেন একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না? গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন যখন অমিত শাহকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই সময় তিনিও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছিলেন। সরকার স্বচ্ছভাবে চালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি, অন্যদিকে বিরোধীরা নিজেদের স্বার্থে তা করতে চাইছে না।

দেখুন ভিডিয়ো

ফৌজদারি মামলা চলছে নিশীথের বিরুদ্ধে

প্রসঙ্গত, নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা চলছে। গত লোকসভা নির্বাচনে কমিশনকে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী কমপক্ষে ১৪টি মামলা তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। এরমধ্যে খুনের চেষ্টা, সরকারী কাজে বাধা, নারী নির্যাতন, অস্ত্র আইন, দাঙ্গার জন্য উস্কানীমূলক কার্যকলাপের পাশাপাশি চুরি-ছিনতাই, জবরদখলের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।