NIA: ভূপতিনগরকাণ্ডে এবার হাইকোর্টে NIA, আদালতের তরফে মিলল মামলা দায়েরের অনুমতি

তদন্তে গিয়ে এনআইএ টিমের উপর হামলা চালানো, পালটা 'মিথ্যা' অভিযোগ দায়ের, ঘটনায় পুলিশের এখনও কাউকে গ্রেফতার না করা - সমস্ত কিছু নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দারস্ত হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

ফাইল ফটো

পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পালটা শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবার। তদন্তে গিয়ে এনআইএ (NIA) টিমের উপর হামলা চালানো, পালটা 'মিথ্যা' অভিযোগ দায়ের, ঘটনায় পুলিশের এখনও কাউকে গ্রেফতার না করা - সমস্ত কিছু নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দারস্ত হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এনআইএ-কে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে।

বছর দুই আগে ২০২২ সালে ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামের একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে (Bhupatinagar Blast Case)। বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালের হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নেয় এনআইএ (NIA)। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় তৃণমূলের আট সদস্যকে একাধিকবার সমন পাঠায় এজেন্সি। কিন্তু প্রতিবারই রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণ দেখিয়ে গরহাজির থাকে প্রতেকেই। তাই শনিবার ভোরে একদল সিআরপি জওয়ান নিয়ে এনআইএ আধিকারিকেরা পৌঁছয় এলাকায়। দুই তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতিকে গ্রেফতার করে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ক্ষুব্ধ জনতার রোষের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাঁদের গাড়িতে ভাঙচুর চলে। চোট পেয়েছেন গাড়ির চালক সহ সামনের আসনে বসে থাকা এক আধিকারিক। শনিবার সকালেই ভূপতিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। সেই রাতেই পালটা ধৃত তৃণমূল নেতা মনোব্রতর স্ত্রী এবং পরিবারের তরফে এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। ঘটনায় এখনও অবধি পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে।

রাজনৈতিক স্বার্থে মোদী সরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছে বিরোধী দলগুলো। বিরোধী রাজ্যে তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে গেলেও কেন বারবার বাংলায় এসে আক্রান্ত হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে! সেই প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে ভূপতিনগরের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) যুক্তি, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই মাঝরাতে তদন্তে এসেছিল এনআইএ। গ্রামবাসী যা করেছে নিজেদের সম্মান রক্ষার জন্যে করেছে। যদিও এনআইএ তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, পুলিশের অনুমতি নিয়েই তাঁরা তদন্তে গিয়েছিল। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়েই উত্তেজিত জনতা তাঁদের উপর হামলা করে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now