কলকাতা, ২৫ মে: রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ শেষ হল। তুমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও পুরুলিয়ায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণভাবে মিটল। ষষ্ঠ দফায় রাজ্যে এখন প্রধান দুই দলের শক্তিই প্রায় সমান-সমান ছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আগেই বলেছিলেন, বাংলায় ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণটাই রাজ্যের সামগ্রিক ফলের পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। স্লগ ওভারের মুডে যার যেখানে বেশী শক্তি সে সেখানে চালিয়ে খেলল। দিনের শেষে দু পক্ষেরই দাবি তারাই জিতছে। গত লোকসভায় বিজেপি জিতেছিল- মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া-য়। সেখানে তৃণমূল জিতেছিল তমলকু, কাঁথি, ঘাটালে। কিন্তু ২০২১ বিধানসভার মুখে অধিকারী পরিবারের বিজেপি যোগে পূর্ব মেদিনীপুরে জমি হারিয়েছে জোড়া ফুল।
ভোটের শেষে বিজেপি কর্মীদের দাবি, গতবারের জেতা বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই। শুভেন্দু অধিকারীর তৈরি করা জমি তমলুকে জয় আসছেই। শিশির অধিকারীর কাঁথিতে পদ্ম ফোটা নিশ্চিত। মেদিনীপুরেও ৪ জুন গেরুয়া আবীর উড়বে। ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল থেকেও সুখবর আসবে। তবে বিজেপি সমর্থকরা বলছেন, ষষ্ঠ দফায় বিজেপির পক্ষে ফল ৬-২ হতে পারে। আর পড়ুন-হারের ভয়ে হিংসা ছড়াচ্ছে তৃণমূল, ষষ্ঠ দফার ভোট ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি নিয়ে অভিমত দিলীপের
সেখানে তৃণমূল কর্মীরা এক প্রকার চারটে আসনে জয় নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত-সেগুলি হল ১) ঘাটাল, ২) মেদিনীপুর, ৩) ঝাড়গ্রাম ও ৪) বাঁকুড়া। তমলুকে শুভেন্দু অধিকারীর মেশিনারি রুখে দেওয়া গিয়েছে বলেও জোড়াফুল শিবির নিশ্চিত। কাঁথি, পুরুলিয়া নিয়েও আশার কথা শোনা যাচ্ছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর নিয়ে তৃণমূলের বুথ কর্মীরা কালীঘাটে পজেটিভ বার্তা দিয়েছেন বলে খবর। এদিকে, দু তিনটি লোকসভা ছাড়া বেশীরভাগ জায়গায় ময়দানে কম দেখা যাওয়া সিপিএম কর্মীরা, দুই ফুলের সমঝোতায় ভোট হয়েছে বলে দাবিকরলেন।
বাকি রইল আর এক দফা। সপ্তম তথা শেষ দফায়, পয়লা জুন রাজ্যের ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ। সেগুলি হল-বারাসত, দমদম ,বসিরহাট, জয়নগর , মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ৯টি আসনেই তৃণমূল জিতেছিল। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে এই ৯টি লোকসভার সব কটি বিধানসভাতেই তৃণমূল বড় জয় পেয়েছিল। শেষ দফা. বিজেপির কাজটা বেশ কঠিন হতে চলেছে। ঠিক যেমন ষষ্ঠ দফায় তৃণমূল খেলল কঠিন জমিতে।