বিজেপি যোগের জল্পনা উড়িয়ে প্রকাশ্যে দেবশ্রী রায়,  রায়দিঘির বিধায়ক গেলেন বিধানসভায়
দেবশ্রী রায়(Photo Credit: Social Media)

কলকাতা, ১১ সেপ্টেম্বর: প্রায় এক পক্ষকাল পর বিধানসভায় দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে (Debashree Roy)। গত ১৪ আগস্ট দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে যখন শোভন ও বৈশাখী পদ্মশিবিরে যোগ দিতে হাজির তখন সেখানেই ছিলেন এই তৃণমূল বিধায়ক। আচমকা তিনি সেখানে কী করতে গেলেন তানিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কম জল্পনা হয়নি। তবে জল্পনা যাই হোক না কেন প্রথম কয়েকদিন মনে করা হচ্ছিল, শোভনকে ফেরানোর উদ্দেশ্যেই বুঝি তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) সেখানে গিয়েছেন বিজেপি নেতা শিবরাম এর মধ্যে আবার ষড়যন্ত্রেরও গন্ধ পেয়েছিলেন। পরে দেখা গেল অন্য বিষয়। যেহেতু শোভনবাবুর সঙ্গে দেবশ্রীর ভাল সম্পর্ক তাই তিনিও তৃণমূল ছেড়ে একসঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিতে চান।

এদিকে যতই ভাল সম্পর্ক হোক না কেন বৈশাখীর সামেন তা প্রকাশ করতে পারেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর বৈশাখী কিছুতেই দেবশ্রী রায়কে বিজেপিতে যোগ দিতে দেবেন না। বাজারে রটে গেল, বৈশাখী চান না বলেই দেবশ্রীকে বিজেপিতে ডাকতে নারাজ শোভন। এই খবরে দারুণ গোঁসা হল বৈশাখীদেবীর। তিনি পারলে তখনই বিজেপি ছে়ড়ে দেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও তাঁকে খোঁচা মারতে ছাড়লেন না। পরে মুকুল রায় কোনওরকমে এই জুড়িকে ধরে রেখে বঙ্গ বিজেপির মান বাঁচালেন। এদিকে কানাঘুষো তো আর বন্ধ হয় না, জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বৈশাখীকে তোপ দেগে দেবশ্রীকে দলে টানার চেষ্টা করলেন। তবে রাজ্য সভাপতি দিলীপ গোষ যখন জানালেন, এখন দেবশ্রী রায়কে দলে নেওয়া যাবে না। তখন হাল ছাড়লেন ‘কলকাতার রসগোল্লা’। আর বুধবার স্টান্যডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে সোজা পৌঁছে গেলেন বিধানসভায়। এতদিনের চাপানউতোরের পর রায়দিঘির বিধায়ককে দেখে তৃণমূলের সতীর্থরা তো হাঁ। তবে অভিনেত্রী তো, তাই সামলে নিতে সময় নেননি। একেবারে মেতে রইলেন দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে। মিডিয়াকে কাছে ঘেঁষতেই দিলেন না। আরও পড়ুন-Narada Case : নারদ তদন্তে শোভন চ্যাটার্জির কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ সিবিআই-র

বিধানসভায় তথ্য সংস্কৃতি ও স্বাধিকারের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য দেবশরী রায়। এদিন সেই বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন তিনি। সব সময় নিজেকে ব্যস্ত রেখে প্রমাণ করতে চাইলেন পদ্ম নয় জোড়াফুল-ই তাঁর একমাত্র ঠিকানা। তবে ভবি তো ভোলার নয়, দেবশ্রী যেকোনও সময় যে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, তা অবিশ্বাস করবেন, এমন মানুষ বোধহয় রাজ্যে আর একটিও নেই।