
কলকাতা, ১১ সেপ্টেম্বর: রবিনসন কাণ্ডের (Robinson Street skeleton case) ঘটনা এবার উঠে এল দমদমে (Dum Dum)। দমদমের জগদীশ পল্লীর এক ফ্ল্যাটে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দিদির মৃতদেহ জেগে পড়েছিল ভাই। তা আজ সামনে এল। মঙ্গলবার সকালে ফ্ল্য়াটটি থেকে অসহ্য দুর্গন্ধ ছড়ানোর পর প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। দমদম পুলিশে এসে দু তলা ফ্ল্য়াটের গ্রাউন্ড ফ্লোরে হানা দিয়ে দেখে মেঝের উপর পড়ে এক মহিলার পচে যাওয়া দেহ। মৃতদেহের উপর মাছি উড়ছে। দুর্গন্ধে থাকা যাচ্ছে না। ওই দেহেরই পাশে বসে হাতপাখা নিয়ে হাওয়া করে চলেছেন একজন। পরে জানা যায় ভাইয়ের নাম বিশ্বরূপ দত্ত। মৃত দিদির নাম রুমা। পুলিশের সন্দেহ, ভাই-বোন দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে অনাহারে ছিলেন।
কার্ডিক অ্যারেস্টের কারণেই ৫৪ বছর বয়েসের মহিলার সপ্তাহখানেক আগে মৃত্যু হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। যদিও অপুষ্টিও মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভাড়ায় ফ্ল্যাটে থাকা দিদির মৃত্যুর পর ৫০ বছরের বিশ্বরূপ দত্ত কাউকে কিছু না বলে, মৃতদেহ আগলে এতদিন পড়েছিলেন। পাড়ার লোকেরা কোনও টেরই পাননি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতেন না দিদি-ভাই। এমনটাই জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন-বাড়ি ফেরার পথে অ্যাসিড হামলার শিকার নবম শ্রেণীর ২ ছাত্রী, ঝলসে গেল গা- মুখ
দিদি-র মৃতদেহ মেঝেতে রেখে ভাই তার মুখের দিকে তাকিয়ে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় কাটিয়ে দেয়। মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ বহু দূর থেকেও টের পাওয়া যাচ্ছিল। ঠিক যেমনটা ২০১৫ সালে পার্কস্ট্রিটের রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে দিদি দেবযানীর মৃতদেহ সাত মাস ধরে রেখে দিয়েছিলেন ভাই পার্থ দে। ঘুণাক্ষরেও প্রতিবেশীর কেউ টের পাননি সাত মাস ধরে দিদি দেবযানী ও তাঁর পোষ্য দু’টি কুকুরের কঙ্কালের সঙ্গে বসবাস করছিলেন পার্থ।