কলকাতা, ১৬ সেপ্টেম্বর: নিউ টাউনের বাসিন্দা আইনজীবী রজত দে (Rajat Dey) খুনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা পালের (Anindita Pal)। বুধবার বারাসত আদালতে সাজা ঘোষণা হয়। সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুজিত কুমার ঝা অনিন্দিতাক দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০,০০০ টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল। ওছাড়াও আদালত প্রমাণ লোপাটে দোষী সাব্যস্ত করে এবং এর জন্য তাকে এক বছরের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দয়। দুটি সাজা একই সাথে চলবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর নিউটনের ডিবি ব্লকের একটি ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে আইনজীবী রজত দে-র দেহ উদ্ধার হয় । সরকারি হাসপাতলে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এর পরই খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। বিধাননগর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ওই বছরেই ডিসেম্বর মাসে রজত দে-র স্ত্রী অনিন্দিতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিষ। বারাসত কোর্টে মামলা শুরু হয়। মামলার তদন্তে একাধিক রহস্য উঠে আসে। পুলিশ দাবি করে, তদন্তের সময় অনিন্দিতার বয়ানে অসঙ্গতি ছিল। পরে খুনের কথা কবুল করে সে। আরও পড়ুন: 13 years Old Girl Commits Suicide: স্বপ্ন ছিল IPS হওয়ার, লকডাউনে ব্যাঘাত ঘটে পড়াশোনায়! অবসাদে আত্মঘাতী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী
বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর বিভাস চ্যাটার্জি অনিন্দিতার মৃত্যুদণ্ডের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, পরিকল্পনা করে রজত দে-কে খুন করা হয়েছে। তবে আদালত তাকে তিন বছরের বাচ্চা থাকার কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। এছাড়াও খুনের কোনও প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় এবং এই পরিস্থিতি প্রমাণের ভিত্তিতেই দণ্ডিত হয়েছে অনিন্দিতাকে। বিচার চলাকালীন, সরকারি আইনজীবী দাবি করেছিলেন যে ২০১৮ সালের ২৪ ও ২৫ নভেম্বর মধ্যরাতে অনিন্দিতা তাঁর স্বামী রজতকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল। নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে মোবাইল ফোনের চার্জারের তার দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় রজতকে। অনিন্দিতার আইনজীবী পিনাক মিত্র দাবি করেছিলেন যে অনিন্দিতা অন্য ঘরে ঘুমোচ্ছিল। রজতের ঘর থেকে আওয়াজ শুনে সে অন্য ঘরে যায়। গিয়ে রজতকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় সে।