কলকাতা, ১৩ জুলাই: কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূলের জয়জয়কার, পদ্মকে ছাপিয়ে ঘাসফুলে ধরল রং। একমাসের মধুচন্দ্রিমা যাপন ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরে এলেন দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যাওয়া কাউন্সিলররা। শনিবার বিকেলে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কাঁচরাপাড়ার নয় বিজেপি কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের সঙ্গেই এদিন তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন হালিশহরের আর এক ঘরওয়াপসি। এরপরেই মুকুল রায়ের (Mukul Roy) সর্বভারতীয় নোর তকমাকে নিয়ে জোর ঠাট্টা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও পড়ুন-কাটা আঙুল নিখোঁজ: বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে ব্যস্ত হাসপাতাল কর্মীরা! তাই গাফলতিতে হারিয়েছে স্বামীর কাটা আঙুল, অভিযোগ যুবকের স্ত্রী-র
উল্লেখ্য, বারাকপুর শিল্পাঞ্চল থেকে নদিয়া পর্যন্ত লোকসভার পর একাধিক পুরসভা রাতারাতি দখল করে নেয় বিজেপি, পুনর্দখলে নামে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু, ফিরহাদ হাকিমরা (Firhad Hakim) ময়দানে নামেন। তারপর থেকেই একের পর এক পুরসভা পুনর্দখল করছে শাসকদল। এর মধ্যে নদিয়ার হরিণঘাটাতেও আস্থা ভোটে বিজেপি-র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে এক ভোটে হারিয়ে দেয় তৃণমূল।এদিন অভিষেক বলেন, “২৮ মে এঁদেরকে বিজেপি-তে যোগদান করানো হয়েছিল। ২৬ মে পর্যন্ত প্রশাসন ছিল নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেই সুযোগেই গেরুয়াবাহিনী সন্ত্রাস করে এঁদের দল বদল করাতে বাধ্য করে।” এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
তিনি বলেন, “বাংলায় একটা কথা আছে, ‘ঘরে নেই নুন, ছেলে আমার মিঠুন।’ মুকুল রায়ের অবস্থা অনেকটা সেই রকম। নিজের পাড়া, বুথ সামলাতে পারেন না, উনি নাকি আবার সর্বভারতীয় নেতা।” কটাক্ষের সুরে বলেন, “দেখুন, নিজের ছেলেটাকে ধরে রাখতে পারেন কি না!”২৩ আসনের হালিশহর পুরসভার আগেই ১২ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এ দিন দিলেন আরও একজন। যুব তৃণমূল সভাপতির দাবি, হালিশহরেও তৃণমূল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। গত বৃহস্পতিবারই তৃণমূলে ফিরেছিলেন কাঁচরাপাড়ার পাঁচ কাউন্সিলর। সেই সময়ে ২৪ আসনের এই পুরসভায় তৃণমূলের সংখ্যা ছিল ১০। এ দিন আরও ৯ জন যোগ দিলেন। ফলে তৃণমূলের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯। অভিষেক এ দিন বলেন, “বোর্ড গড়তে দরকার ১৩ জন। তৃণমূলের রয়েছে ১৭ জন।”