Jadavpur University: করোনার মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য করায় জাত নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকাকে
অধ্যাপক মারুনা মুর্মু করোনা মহামারী চলাকালীন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা নিয়ে বর্তমান বিতর্ক নিয়ে একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছিলেন যার ফলে তাঁর জাত নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। অধ্যাপক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে গত ১৫ বছর ধরে সেখানে কর্মরতা।
কলকাতা, ৫ সেপ্টেম্বর: অধ্যাপক মেরুনা মুর্মু (Maroona Murmu) করোনা মহামারী চলাকালীন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা নিয়ে বর্তমান বিতর্ক নিয়ে একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছিলেন যার ফলে তাঁর জাত নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। অধ্যাপক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে গত ১৫ বছর ধরে সেখানে কর্মরতা।
২ সেপ্টেম্বর করোনার প্রকোপে জরুরী অবস্থা থাকা সত্বেও সারাদেশে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ওঠে সে সময় তাঁর বন্ধু নীলকান্ত নস্করের একটি ফেসবুক পোস্ট দেখেন। এরপর সেই ইস্যুতে মেরুনা মুর্মু তাঁর মতামত প্রকাশ করে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। আরও পড়ুন, সোমবার জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী, থাকবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি
এক যুবতী তার মন্তব্যে জবাব দিয়ে বললেন, “মেরুনা মুর্মু, যা আমাকে অবাক করেছিল তা হ'ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন মানসিকতা নিয়ে অধ্যাপকরা রয়েছেন। আমি অবাক হই। ‘কোটা’ অর্থাৎ সংরক্ষণ এবং অসংরক্ষনের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আমি আপনাকে কিছুটা সংক্ষিপ্ত করে বলি। এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নয়, তবে কিছু অযোগ্য লোকেরা কীভাবে সংরক্ষণ ব্যবস্থার অযাচিত সুবিধা গ্রহণ করে এবং তাদের জাত এখন তাদের সফল হতে সহায়তা করছে, যারফলে যোগ্যরা চিরকালের জন্য পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের বাবা-মা আমাদের খাওয়ার জন্য প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলে যাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ ঘরে বসে কিছু না করার জন্য বেতন পান।" ঠিক এভাবেই তাঁর জাত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই মহিলা।