J P Nadda: 'পিকচার আভি বাকি হ্যায়' মহামিছিল থেকে মমতা ব্যানার্জিকে হুশিয়ারি দিয়ে গেলেন জে পি নাড্ডা
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বিরাম নেই কলকাতায় (Kolkata)। সোমবার তৃণমূলের পাল্টা মিছিলে অংশ নিতে দিল্লি থেকে উড়ে আসেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। আর কোনও সার্বিক আলোচনায় না গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর একতরফা সমালোচনাই করে গেলেন বলা যেতে পারে। তাঁর অভিযোগ, বরাবর দেশের উন্নতি-নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জি বাধা সৃষ্টি করে চলেছেন। তাঁর কথায়, 'এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে মমতা ব্যানার্জি সবসময় দেশের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন। সিএএ-এর ক্ষেত্রেও তৃণমূল ও অন্যান্য বিরোধী দল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। তারা শুধু ভোটব্যাংকের কথাই ভাবছেন।'
কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বিরাম নেই কলকাতায় (Kolkata)। সোমবার তৃণমূলের পাল্টা মিছিলে অংশ নিতে দিল্লি থেকে উড়ে আসেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। আর কোনও সার্বিক আলোচনায় না গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর একতরফা সমালোচনাই করে গেলেন বলা যেতে পারে। তাঁর অভিযোগ, বরাবর দেশের উন্নতি-নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জি বাধা সৃষ্টি করে চলেছেন। তাঁর কথায়, 'এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে মমতা ব্যানার্জি সবসময় দেশের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন। সিএএ-এর ক্ষেত্রেও তৃণমূল ও অন্যান্য বিরোধী দল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। তারা শুধু ভোটব্যাংকের কথাই ভাবছেন।'
এদিনের মিছিলে প্রত্যাশিত ভিড়ে বেজায় খুশি বিজেপি (BJP) নেতারা। যা দেখিয়েই বিজেপির শীর্ষ নেতার হুংকার- এই জনস্রোত বলে দিচ্ছে ২০২১-এ এরাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপিই। জেপি নাড্ডার কথায়, 'এটা ট্রেলার দিলাম। আসল ছবি দেখাব ২০২১-এ।' তাঁর বক্তব্য, "পিকচার আভি বাকি হ্যায়।" বিজেপি নেতারা টার্গেট নিয়েছেন মিছিলে এক লক্ষ মানুষের জমায়েত করানোর। তবে হাজার তিরিশ মানুষ মিছিলে হাঁটলেই তৃণমূলের (TMC) কপালে ভাঁজ পড়বে বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেই সংখ্যা মোটামুটি মিলে গিয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন তাঁরা বলে জানা গিয়েছে এই সময়ের খবর অনুযায়ী। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ ছাড়া সব জেলার বিজেপি কর্মীদের এই মিছিলে আনা হয়েছিল। আরও পড়ুন: JP Nadda: কলকাতায় পৌঁছলেন জে পি নাড্ডা, শুরু নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৃণমূলের পাল্টা বিজেপির মহামিছিল
জানুন আরও কী কী বললেন তিনি-
- আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ
- কেন্দ্রের কোনও প্রশ্নের জবাব দেন না মমতা। তাহলে কে সংবিধানের অবমাননা করছেন?
- ২০২১ এখনও বাকি। সুস্থ থাকুন মমতাদি। কিন্তু ওঁর নিজের বা আত্মীয়দের কিছু হলে তো ইংল্যান্ড, আমেরিকা নিয়ে যাবেন। গরিব মানুষের কী হবে?
- তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলতে দেব না আমরা
- মতুয়া সমাজের বড় মা বীণাপানিদির আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন মমতা, আজ সেই মতুয়াদের স্বার্থ বিরোধী কাজই করছেন উনি
- পয়সার অভাবে বাংলার মানুষ চিকিৎসা করাতে পারেন না। তার জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এনেছিলাম আমরা, যাতে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারেন তাঁরা। তাতেও বাধা দিচ্ছেন মমতা
- ১৫ দিন ধরে বাংলায় তাণ্ডব চলল। অথচ এখবারও হিংসার নিন্দা করলেন না। বললেন, শান্তি বজায় রাখার আবেদন করচি। মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ করেন না আবেদন করেন?
- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়ায় তিন তালাক নিষিদ্ধ। কিন্তু এত দিন ধরে ভারতে তিন তালাক প্রথা চলে আসছিল। মোদীজি এসে মুসলিম মহিলাদের স্বাধীনতা দিলেন। যাঁরা এই আইনের বিরোধিতা করছেন, তাঁরা মহিলা বিরোধী
মমতাদি বলছেন বাংলায় সিএএ হবে না, এনআরসি হবে না, কেন হবে না?
- দেশে নিয়ে মাথাব্যথা নেই বিরোধী নেতাদের। শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের কথা ভাবেন ওঁরা
কেন্দ্রের প্রতিটি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন মমতাদি। ৩৭০ ধারা নিয়েও বিরোধিতা করেছিলেন উনি
- বাংলাদেশ থেকে আসা নিপীড়িত মানুষকে আশ্রয় দিতে বলেছিলেন প্রকাশ কারাট। কিন্তু মোদীজি তা করে দেখাতেই উল্টো কথা বলছেন
- একসময় আফগানিস্তানে ৫০ হাজার শিখ ছিলেন, এখন মাত্র দু’হাজার শিখ রয়েছেন। ওঁদের বাঁচাতেই প্রধানমন্ত্রী এই পদক্ষেপ করেছেন
- হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, পার্সিদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদীজি
ভারতে মুসলিমরা সমানাধিকার পেয়েছেন। ’৭১-এর পর আমাদের এখানে মুসলিম জনসংখ্য়া বেড়েছে। তাঁদের মধ্যে থেকে কেউ রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, কেউ উপরাষ্ট্রপতি হয়েছেন, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা কমেছে
- নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অপপ্রচার করছে তৃণমূল
- ধর্মের নিরিখে দেশভাগ হয়েছিল। খুব বড় ভুল হয়েছিল
- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নাগরিকত্ব দেয়, কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেয় না। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল
- আজকের দৃশ্য বাংলায় পরিবর্তনের সংকেত দিচ্ছে। মমতাদিদির কাছেও সেই সংকেত পৌঁছে গিয়েছে
- বাংলায় বহুবার এসেছি, কিন্তু আজ মানুষের মধ্যে যে উদ্দীপনা দেখলাম, তা এই প্রথম
সবার আগে এই মাটিকে প্রণাম করছি, যেখানে রামকৃষ্ণ পরমহংস জন্মেছিলেন