এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে ওয়াকফ আন্দোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদে (Murshidabd)। সেই প্রতিবাদ মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায় অশান্তিতে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতি সহ একাধিক এলাকা। ভাঙচুড় করা হয় একাধিক বাড়ি। এই পরিস্থিতির মধ্যে মৃত্যু পর্যন্ত হয় তিনজনের, আহত হয়েছেন অনেকে। এমনকী এই ঘটনায় ঘরছাড়া হয়েছিলেন বহু মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনকী মালদায় গিয়ে ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখাও করে আসেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বোস। আর তারপরেই ফের উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।
বিরোধীতা করেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী
জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানোর পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। শাসক শিবির এই নিয়ে বিরোধীতা শুরু করে দিয়েছেন। তবে এই নিয়ে বিরোধী শিবিরেরও সেরকম মত নেই বলেই জানা যাচ্ছে। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, আর্টিকেল ৩৫৬ জারি এত সহজ নয়। রাজ্যে এখনও কিছুটা হলেও আইন শৃঙ্খলা আছে। সেই সঙ্গে বিচার ব্যবস্থাও রয়েছে। শুধুমাত্র রাজ্যপালের কথায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারে না কেন্দ্র। হ্যাঁ, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। তাঁর জন্য মুখ্যমন্ত্রীই একমাত্র দায়ী। তবে এভাবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা অনুচিত।
দেখুন অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্য
#WATCH | The West Bengal Governor filed a report to MHA over the Murshidabad violence, which reportedly says that the centre is open to implementing Article 356 (President's rule) if the state's condition further deteriorates.
In North 24 Parganas, Congress leader Adhir Ranjan… pic.twitter.com/tKQ1oKojOY
— ANI (@ANI) May 4, 2025
দেখুন সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য
#WATCH | The West Bengal Governor filed the report to MHA over the Murshidabad violence, which reportedly says that the centre is open to implementing Article 356 (President's rule) if the state's condition further deteriorates.
In Balurghat, West Bengal BJP President Sukanta… pic.twitter.com/P4o7Zgg3hD
— ANI (@ANI) May 4, 2025
রাষ্ট্রপতি শাসনের বিরোধীতায় সুকান্ত মজুমদার
অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও অনেকটা একই মত। তিনি বলেন, কোনও রাজ্যে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আসা সরকারকে ফেলে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা. এটা বিজেপি দলের নীতির বিরুদ্ধে। এভাবে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেসের নীতি। আমরা এভাবে ক্ষমতা দখল করি না। তবে রাজ্যে অবশ্যই আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এরজন্য রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দায়ী। ২০২৬-এর নির্বাচন আসলেই জনগণ এর উপযুক্ত জবাব দেবে। তখনই গনতান্ত্রিকভাবে সরকার বদলাবে।