Dilip Ghosh (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ২১ সেপ্টেম্বর: দিল্লির কলমের খোঁচায় রাতারাতি পদ বদল৷ চিত্রনাট্য বদলে গেলেও চরিত্র বদলাতে রাজি নন বঙ্গবিজেপির ভূতপূর্ব সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)৷ তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের জন্য সবসময় আছি৷ কাজ কার শপথ নিয়েছিলাম রাজ্য সভাপতি হিসেবে নয়, দলের একজন কর্মী হিসেবে৷ ফলে বাংলার জন্য আমরা লড়াই সর্বদা জারি থাকবে৷” বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভাপতির পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে৷ বিরোধীরা এটিকে দিলীপবাবুর পদস্খলন হিসেবে দেখলেও বিজেপির দাবি, পদোন্নতি হয়েছে প্রিয় প্রাক্তন রাজ্যসভাপতির৷ তাঁকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন বড় পরিসর, বিরাট কাজ৷ তাই তা মনে দিয়েই করতে চান৷ আরও পড়ুন- Virat Kohli’s Car Up for Sale: ল্যাম্বারগিনি গ্যালার্ডো স্পাইডার, বিক্রি হচ্ছে বিরাট কোহলির বিলাসবহুল গাড়ি

এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “দিল্লি থেকে জানিয়েছে, আমাকে যেমন বাংলাতেও চাই, তেমনই দিল্লিতেও চাই। তাই দিল্লি যে রকম ভাবে নির্দেশ দেবে সেই মতো কাজ করব। একই সঙ্গে বাংলায় যিনি নতুন নেতা, বিজেপি-র নতুন সভাপতি হয়েছেন, তিনি যে ভাবে আমাকে ব্যবহার করতে চাইবেন, তাই হবে।” সবই তিনি মন দিয়েই করেন৷ যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন, তার অর্ধেকটা সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন বাকিটাও হয়ে যাবে৷ এমনই আশা রাখেন খড়গপুরের ভূমিপুত্র৷ ২০১৯-এ জব্বর খেললেও জান প্রাণ লড়িয়ে দিয়ে ২০২১-এ কিন্তু রিটার্ন গিফট পাননি তিনি৷ তবে ভোটের আগে ২৮০টি বিধানসভা এলাকায় চড়কি পাক কেটেছেন৷ আজ কালিম্পং তো কাল দিল্লি৷ রাজ্যসভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এমনই ছিল দিলীপ ঘোষের দিনলিপি৷ তাইতো তাঁকে “গেছো দাদা” বলা হত৷

কী বললেন দিলীপ ঘোষ, দেখুন

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মসনদে বসার পর থেকে বঙ্গবিজেপি যেন তাসের ঘরের মতো গুঁড়িয়ে যাচ্ছে৷ ভোটের আগে দলবদল করে যাঁরা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন এক শুভেন্দু অধিকারী বাদে সবাই ফের ঘাসফুলে ফিরেছেন৷ ১৯-এর ভোটে বিজেপির তুরুপের তাস মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন যেন বোঝার উপরে শাকের আঁটি৷ এখানেই শেষ নয় দীর্ঘদিন বিজেপির সাংসদ পদে থেকেও শেষবেলায় ফুল বদলে বাবুল যখন মমতার হাত ধরলেন তখন আর কিছুই বলার থাকে না৷ এমতাবস্থায় দিলীপ ঘোষের পদ বদল তাৎপর্যপূর্ণ বৈকি৷