ভোট মিটে গিয়েছে মাসখানেক আগে। কোনওভাবে বিজেপি শরিকদের নিয়ে সরকার গঠন করেছে। বাকি রাজ্যের মতো এই রাজ্যেও কমেছে আসন সংখ্যা। আর এই বিষয়ে কেন্দ্র মেনে নিলেও এই রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব এখনও এই হার হজম করতে পারছে না বলে দাবি করছেন অনেকে। লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকী উপ নির্বাচনেও বিজেপির শোচনীয় হারের পর রবিবার রাজভবনের সামনে আন্দোলন শুরু কে বঙ্গ বিজেপি। নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আজ থেকেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে গনআন্দোলন। যতদিন না রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ততদিন ধরে চলবে এই আন্দোলন। রবিবারের এই আন্দোলনে যোগ দেন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্ত হওয়া ৩৩০ জন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা।

এদিন শুভেন্দু বলেন, "বাংলায় গনতন্ত্র বলে কিছু নেই। আজ থেকে আমরা গনআন্দোলন শুরু করলাম। আমরা বিগত কোনও নির্বাচনে যেটা দেখিনি সেটা হচ্ছে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট দেওয়ার বিষয়টা। কিন্তু এবারে লোকসভা নির্বাচনে কমপক্ষে ৫০ লক্ষের বেশি হিন্দু ভোট দিতে পারেননি। এবং উপ নির্বাচনে ২ লক্ষ হিন্দুকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত রিপোর্ট আমাদের সাংসদরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে জমা দেবে। সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন"।

শুভেন্দু আরও বলেন যে, "যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁদের জন্য একটি পোর্টাল খোলা হবে। সেখানে সকলের নাম গোপন থাকবে। যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁরা ওখানে নাম নথিভুক্ত করবেন। আমরা এই নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবো। রাজ্যে এই ধরনের পরিস্থিতি বন্ধ হওয়া দরকার"। প্রসঙ্গত, গতকাল ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের ফলপ্রকাশ হয়েছিল। আর মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ এই চার কেন্দ্রে বড় জয় পেয়েছে তৃণমূল।