বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সামগ্রিক সুরক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিল । ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা বিরোধী দলনেতাকে সামগ্রিক সুরক্ষাকবচ দিয়েছিলেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে এফ আই আর করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। সেই নির্দেশ বাতিল করেদিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে তার বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা মোট ২০ টি এফ আই আর মধ্যে ১৫ টি এফ আই আর খারিজ করেদিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন নির্দেশে জানিয়েছেন , মানিকতলা থানায় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাতে সিবিআই ও রাজ্যপুলিশের যৌথ নেতৃত্বে তদন্ত হবে। তদন্তের নেতৃত্বে থাকবেন এসপি র্যাঙ্কের দুজন আধিকারিক এবং রাজ্য পুলিশের ও সিবিআইয়ের সর্বোচ্চ মোট পাঁচজন করে তদন্তকারী আধিকারিক। আর বাকি চারটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে যথাযথ আবেদন না করায় সেগুলোর বিষয়ে নতুন করে আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্যের একাধিক থানায় দায়ের হয়েছিল এফয়াইয়ার। তাকে হেনস্থা করার উদ্দেশ্যেই রাজ্য পুলিশ তার বিরুদ্ধে এফয়াইয়ার দায়ের করছে বলে অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে তার পক্ষে আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, তিনি রাজনৈতিক দল বদল করার জন্য তার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করছে রাজ্য পুলিশ। অকারণ হ্যালোস্থা করার জন্য তার বিরুদ্ধে একের পর এক এফ আই আর দায়ের করা হচ্ছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালতের অনুমতি ছাড়া তার বিরুদ্ধে কোনরকম এফআইআর করা যাবে না। স্বাভাবিকভাবেই বড় স্বস্তি পেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রিম কোর্টের দারস্ত হয়েছিল। কিন্তু কিন্তু শীর্ষ আদালত সেই মামলা ফিরিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্টে।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলছিল এই মামলার।
আদালতের এই নির্দেশে বড় জয় দেখছে রাজ্য।যদিও বিরোধী দলনেতার আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানালেন, বিরোধী দলনেতা বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৫ টা এফয়াইয়ার খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আদপেই বড় জয় পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা।