কলকাতা, ১৭ জুন: বিজেপির কার্যকরী সভাপতির মতো ব্যবহার করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল যখন বিজেপি সভাপতির মতো কাজ করছেন, সেই সময় রাজভবনকে ব্যবহার করা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের পার্টি অফিস হিসেবে৷ এবার এভাবেই জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কুণাল ঘোষ৷
কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) সবিস্তারে সবকিছু জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ২-৩ পাতার চিঠিও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন বলে জানান কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)৷
আরও পড়ুন: COVID-19: 'ডেল্টা প্লাস' ডেকে আনতে পারে তৃতীয় ঢেউ, করোনার নয়া প্রজাতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের মুখপাত্র আরও বলেন, রাজ্য জুড়ে বিজেপি যে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যপাল৷ মানুষের রায়কে মেনে নিতে পারছে না বিজেপি৷ গেরুয়া শিবিরের নেতারা এমন ব্যবহার করছেন, যাতে রাজ্যে অনায়াসে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারি করা যায়৷ সোজা পথে হবে না বলেই ঘুর পথে রাজ্যে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি৷ এমনও অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ৷
ভোটের ফল বেরনোর পর সাম্প্রতিক দল বদল নিয়েও মুখ খোলেন কুণাল ঘোষ৷ তিনি বলেন, বিজেপির উপর বীতশ্রদ্ধ হয়েই, গেরুয়া শিবির থেকে নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন৷ বিজেপির অনেক নেতারাই বর্তমানে তৃণমূলে আসতে চাইছেন৷ তবে এ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেবেন বলেও জানান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যে সম্পাদক৷
এসবের পাশাপাশি কুণাল ঘোষের আরও দাবি, বর্তমানে বিজেপির ৭-৮ জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন৷ বিধায়কদের পাশাপাশি বিজেপির ৩ সাংসদও নাকি তৃণমূলে আসার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ৷