কলকাতা, ৪ নভেম্বর: টালার সেতুর (Tallah Bridge) জন্য বিকল্প রাস্তার (Alternative Route) পরিকল্পনা শুরু করল রাজ্য প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বাস (Bus) চলাচলের জন্য টালা সেতুর বিকল্প হিসেবে লকগেট উড়ালপুল এবং চিৎপুর ব্রিজকে খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, শহরের ওই প্রাচীন দু’টি সেতুই যান চলাচলের জন্য উপযুক্ত। এছাড়া, পণ্যবাহী গাড়িগুলিও যাতে উত্তর শহরতলি (North Kolkata) থেকে সরাসরি হাওড়া পৌঁছতে পারে, সেজন্য বিটি রোডের দিক থেকে কাশীপুরের জগন্নাথ টেম্পল রোড-ব্রজদয়াল সাহা রোডের সঙ্গে প্রাণকৃষ্ণ মুখার্জি রোডের যোগাযোগের জন্য চিৎপুর রেল ইয়ার্ডের কাছে একটি লেভেল ক্রসিং তৈরি করা হবে। এজন্য, ইতিমধ্যেই রেলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে বলেই খবর। এই সমস্ত প্রস্তাব নিয়ে আজ সোমবার পরিবহণ ভবনে বৈঠক হওয়ার কথা।
সরকারি সূত্রে খবর, প্রাণকৃষ্ণ মুখার্জি রোড ধরে বাগবাজার-শোভাবাজারের গঙ্গার (River Ganga) পাশ দিয়ে রাস্তাটি সরাসরি হাওড়ায় পৌঁছেছে। মূলত পণ্যবাহী গাড়িগুলিই এই রাস্তা দিয়ে যাবে। প্রস্তাবিত ওই লেভেল ক্রসিংয়ের জায়গায় এখন রেলের ২টি লাইন রয়েছে। সেখানে টালা সেতুর তলায় লাইনের সংখ্যা ১৭টি। রাত সাড়ে আটটার পর চক্ররেল চলে না। ফলে পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। জাপানি প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়া ওই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানা যায়, ৭০ টন ওজন নিতে পারার ক্ষমতা রাখে এটি। সেখানে যাত্রীবাহী বাসের ওজন ১৫-১৮ টন। ফলে, ওই সেতুটি দিয়ে বাস চলাচল করা সম্ভব। পাশেই কেএমডিএ-র (KMDA) মালিকানাধীন চিৎপুর ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মোটের উপর এই সেতুটির অবস্থা ভালো। ফলে, এই সেতুটিকেও যান চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এর বাইরেও শ্যামবাজারের সঙ্গে লেকটাউন, বাঙুর, পাতিপুকুর-দমদম এলাকার যোগাযোগ রক্ষার স্বার্থে ছোট বাস রুট এবং অটো রুট চালু করার প্রস্তাব ১ নম্বর বরোর তরফে দেওয়া হবে বলে খবর। আরও পড়ুন: Tala Bridge Update: জানুয়ারিতে ভাঙছে টালা ব্রিজ, ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু নতুন সেতুর কাজ
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee) জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতেই (January) জীর্ণ টালা সেতু (Tallah Bridge) ভেঙে ফেলা হবে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হবে নতুন সেতু গড়ার কাজ। এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে সেতু তৈরির কাজ। সিদ্ধান্ত হয়েছে, জানুয়ারি মাসে ভেঙে ফেলা হবে নড়বড়ে সেতুটি। ১৫ দিনের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন মমতা। সেতুর দু’পাশে অন্তত ২০০ মিটার ফাঁকা জায়গা রাখতে হবে। নতুন সেতু তৈরির জন্য আধুনিক যন্ত্রাংশ রাখার কাজে লাগানো যাবে ওই জায়গা।
(এই সময় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী)