আসানসোল, ৩ মার্চ: মঙ্গলবার হুগলির বৈদ্যবাটিতে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে পদ্মশিবিরে যোগ দিলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে এহেন বিশ্বাসঘাতকতায় বেজায় চটেছে আসানসোলের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাই বুধবার সকালেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং হরে রাম সিংহের নেতৃত্বে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক কার্যালয় গোবরজল দিয়ে ধুয়ে ‘শুদ্ধ’ করা হয়। হাওড়ার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে গেলে একই পদ্ধতিতে তাঁর অফিসও ‘শুদ্ধ’ করা হয়েছিল। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক হিসাবে এই অফিস থেকেই যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা করতেন জিতেন। তাই তিনি বিজেপি-তে যোগ দিতেই সেই অফিসের দখল নিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। ওই বিধায়ক কার্যালয়কে রাতারাতি তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত করা হয়েছে। আরও পড়ুন-WHO Warns of Hearing Problems: ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে প্রতি ৪ জনে ১ জন শ্রবণশক্তি হারাবেন, WHO-র সতর্কতা
এমনিতে তৃণমূলের সঙ্গ ছাড়ায় স্থানীয় স্তরে দলের সাংগঠনিক ক্ষতি তেমন হয়নি বলেই মনে করছে আসানসোলের ঘাসফুল শিবির। কারণ আগেভাগে প্রকশ্যে দলের নিন্দা করে প্রায় ব্রাত্যই ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, “এই এলাকায় যত কয়লাচোর রয়েছে তারা একত্রিত হচ্ছে। এর আগে কয়লাচোর রাজু ঝা, জয়দেব খাঁ গিয়েছিল। এখন এ (জিতেন) গেল। এর ফলে তৃণমূল দলটা শুদ্ধ হচ্ছে! তাই গোবরজল দিয়ে দলের অফিস ধোয়া হয়েছে।” এদিকে জিতেনের বিজেপি যোগ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিলেও সপরিবারে কলকাতায় রয়েছেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র। তাই এই আঁচ এখনই তাঁর গায়ে লাগছে না। সম্ভবত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই আসানসোলে ফিরবেন তিনি।
এদিকে ভোটের মুখে বিধায়কের এহেন কাণ্ডে থমথমে গোটা আসানসোল। সেখানকার অন্যতম ব্যস্ত সিটি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জিতেনের কাটআউট বানিয়ে তাতে জুতোর মালা পরিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। জিতেনের কুশপুতুলও দাহ করা হয়েছে বুধবার। এ নিয়ে পরিবহন শ্রমিকনেতা রাজু আলুওয়ালিয়া বলেছেন, “বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন জিতেন। তাই পরিবহন শ্রমিকরা তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।”