কলকাতা, ৮ ফেব্রুয়ারি: সাত সকালে মহানগরীর (Kolkata) বুকে রিকশা চালালেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কোর্ট-প্যান্ট, গলায় উত্তরীয় পরে রিকশা (E-Rickshaw) চালালেন তিনি। খোদ কলকাতার মেয়রকে এভাবে শহরের রাস্তায় ই-রিকশা চালাতে দেখে তাজ্জব বনলেন সকলেই!
সকালের ব্যস্ত রাস্তা। পথচলতি মানুষের ভিড়। কেউ যাচ্ছেন অফিস, কেউ বা কাজে। অনেকে আবার শনিবারের বাজার সারতে বেরিয়েছেন। হঠাৎই সকলের চোখ আটকে গেল একটি ই-রিকশায়। প্রত্যেকেই ভাবছেন ঠিক দেখছি তো! রিকশায় পিছনের আসনে বসে রয়েছেন এক যাত্রী। আর কোর্ট-প্যান্ট, গলায় উত্তরীয় পরে সেই রিকশা চালাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। খোদ কলকাতার মেয়রকে এভাবে শহরের রাস্তায় ই-রিকশা চালাতে দেখে সকলেই অবাক! রিকশা চালিয়ে কোথায় যাচ্ছেন মেয়র? খোঁজখবর নিয়ে উৎসাহীরা জানলেন, এ দিন পুরসভার (Municipality) ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বেহালার রায় বাহাদুর রোডে বেশ কয়েক জনের হাতে ই-রিকশার চাবি তুলে দিতে গিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র নিজেই একটি ই-রিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, উদ্যোক্তাদের অন্যতম তারক জানিয়েছেন, অনেক বয়স্ক মানুষ রয়েছেন, তাঁরা আর প্যাডেল করে রিকশা চালাতে পারেন না। তাঁর কথায়, ‘‘ওই বয়স্কদের পরিবার রয়েছে। সে সব কথা মাথায় রেখে এ দিন ১৭ জনের হাতে ই-রিকশার চাবি তুলে দেওয়া হল। মেয়র নিজে ই-রিকশা চালিয়েছেন এ দিন। আশপাশের এলাকার আরও কয়েক জনকে ই-রিকশা দেওয়া হবে।” আরও পড়ুন: Radio Dumdum Launches Today: জেলের কয়েদীরাই RJ এই রেডিও স্টেশনে
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণা সিংহ এবং মেয়র পারিষদ তারক সিংহের উদ্যোগে এ দিনের ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তারই শুরুতে মেয়র রিকশা চালিয়েছেন। আর মেয়র নিজে কিছুক্ষণ ওই রিকশা চালানোর পর বলেন, “গরিব (Poor) মানুষকে অনেক কষ্ট করে রিকশা চালাতে হয়। তাঁদের হাতে ই-রিকশা তুলতে দিতে ভাল লাগছে। ওদের কষ্ট কমবে। এই সুযোগে আমিও একটু রিকশা চালিয়ে নিলাম। ওঁদের কষ্ট ভাগ করে নিলাম।”