অপর্ণা সেন(Photo Credit: Twitter)

কলকাতা, ১৯ আগস্ট: নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে ফের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক অভিনেত্রী অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। পার্শ্ব শিক্ষকদের উপরে লাঠিচার্জের ঘটনায় টুইটারে গর্জে উঠলেন অভিনেত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে দেশের অসহিষ্ণুতা প্রসঙ্গে চিঠি লেখার পর দেশজুড়ে এক শ্রেণির বিশিষ্টজনের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তিনি। তখনই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) তাঁকে তৃণমূল শিবিরে টানার চেষ্টা করেছিলেন। সেই চেষ্টা যে বৃথাই গিয়েছে তা এই টুইটবার্তা পড়লেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকেই উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “পুলিশ শিক্ষকদের উপর হামলা চালাচ্ছে। শিক্ষিকাদের যৌন হেনস্তা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার করছে কী?ম্যাডাম মুখ্যমন্ত্রী, দোষীদের খুঁজে বের করে তাঁদের কঠিন সাজা দেওয়া এ বার আপনার দায়িত্ব।” আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রের বন্যাত্রানে ৫১ লক্ষ টাকা দান অমিতাভ বচ্চনের, ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের

অতীতে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ে অপর্ণা খুবই সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছিল। ইদানীং এ ধরনের বিষয়ে ফের সক্রিয় হয়েছেন তিনি ও তাঁর সঙ্গে সমমনোভাবাপন্ন কিছু বিদ্দ্বজন। যেমন, ভাটপাড়ায় রাজনৈতিক হিংসার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। আবার দেশজুড়ে বিক্ষিপ্ত গণপিটুনি তথা অসহিষ্ণুতার ঘটনার প্রতিবাদ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। তবে তিনিযে কোনও রাজনৈতিক শিবিরের সমর্থক নন তা প্রমাণ করতে কখনওই দ্বিধাবোধ করেননি। নিজের মতো করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন, কোনও রাজনৈতিক দল যাতে সেই প্রতিবাদকে মুখ্য করে কোনওরকম সুবিধা না নিতে পারে, সেদিকে তাঁর সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।

উল্লেখ্য, সমকাজে সম বেতনের দাবিতে পার্শ্ব শিক্ষকরা গত কদিন ধরে তাঁদের আন্দোলন ক্রমশই জোরদার করেছেন। গত শুক্রবার প্রথমে তাঁরা হাডকো মোড়ে জমায়েত করে সল্টলেকে শিক্ষা দফতর তথা বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিল করেছিলেন। পর দিন তাঁরা ধর্মতলা চত্বরে ধর্নায় বসার কথা স্থির করেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। ফলে কলকাতা থেকে একটু দূরে তাঁরা কল্যাণী বাস টার্মিনালে ধর্নায় বসেন। কিন্তু শনিবার রাতে সেখান থেকে তাঁদের তুলে দিতে বেধড়ক লাঠি চালায় পুলিশ। শিক্ষিকাদেরও হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে এখন সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই চলচ্চিত্র পরিচালক জানিয়েছেন, তিনি এখন শহরে নেই। নইলে এক্ষুণি পার্শ্ব শিক্ষকদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। তবে তাঁর সব রকম সহানুভূতি শিক্ষকদের সঙ্গে রয়েছে। এ কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন তিনি।