প্রতীকী ছবি(Photo Credit: IANS)

পিংলা, ৪ মার্চ: দিনদুয়েক আগেই বৈদ্যবাটীতে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপি শিবিরে এসেছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এরপরে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা জিতেনের অফিসে গোবর জল ছিটা দিয়ে শুদ্ধ করেন। এদিকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে লোকসমক্ষে ওঠবোস করলেন খড়গপুর-২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সম্পাদক সুশান্ত পাল। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা বিধানসভা এলাকায় জনসভা করেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভাতেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সুশান্তবাবু। এবং এতদিন তৃণমূলের সঙ্গে থাকায় প্রায়শ্চিত্য হিসেবে সবার মাঝে মঞ্চে কানধরে ওঠবোসও করেন তিনি। কেন এমনটা করলেন তার স্বপক্ষে ওই নেতার সাফাই, “তৃণমূলে থেকে ভুল করেছেন, তাই প্রায়শ্চিত্ত করতেই কান ধরে ওঠবোস।”  আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: বড় পরিসরে কাজ করার ইচ্ছে, তৃণমূলে যোগ সাঁওতালি অভিনেত্রীর

উল্লেখ্য, গত নভেম্বর থেকে তৃণমূল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির দলভারী করে চলেছেন পূর্বতন কিছু তৃণমূল নেতৃত্ব। এই দলবৃদ্ধিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দারুণ খুশি হলেও বঙ্গ বিজেপি শিবিরের অন্দরে একটা কিন্তু কিন্তু আবহাওয়া থেকেই গেছে। কারণ ভোট এগিয়ে এলেও বিজেপির তরফে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ এখনও নির্দিষ্ট নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুখ্য করেই ভোটের ময়দানে (WB Assembly Elections 2021) লড়াইয়ে নেমেছে বিজেপি। এদিকে কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা দাদার অনুগামীরা পোস্টার ছড়িয়েছে। যাতে শুভেন্দু অধিকারীকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে। বিজেপির তরফে সেই পোস্টার সরিয়ে নেওয়া হলেও থামেনি দ্বন্দ্ব। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নেপথ্যে থেকে এসব করছে। অন্যদিকে তৃণমূল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছে, পদ্মশিবিরে আদি বিজেপির সঙ্গে নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব লেগেছে। এই ঘটনা তারই ফলশ্রুতি।