রবিবার সকালে ভাঙড়ের (Bhangar) চন্দনেশ্বর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল দম্পতির রক্তাক্ত দেহ। মৃতদের নাম মোশারফ পিয়াদা ও শাহনারা বিবি। তাঁদের একটি বিবাহিত মেয়ে ও একটি নাবালক ছেলে রয়েছে। জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে মেয়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা হয় ওই দম্পতির। সকালে প্রথম দেহগুলি দেখতে পায় তাঁদের ১২ বছরের ছেলে। আতঙ্কে সে প্রতিবেশীদের ডাকে। তাঁরাই পুলিশ ও মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দুটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, মোশারফের দেহতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অনুমান পুলিশের। অন্যদিকে শাহনারাকে অর্ধনগ্ন অবস্থার উদ্ধার করা হয়। তাঁরও শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন।
দম্পতির ছেলের দাবি, ঘুম থেকে উঠে দোতলার ঘর থেকে নেমে বাবা-মায়ের দেহ দেখতে পায়। সদর দরজার ছিটকানি ভাঙা ছিল বলেও জানায় সে। অন্যদিকে মেয়ে বলেন, বাবা-মাকে দুষ্কৃতিরা খুন করেছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, মোশারফ পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। ব্যবসায়িক শত্রুতা বা অন্য কোনও কারণে খুন হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বাড়ির আশেপাশে দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখে তদন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে।