কোচবিহার: (Coochbiher) উত্তরবঙ্গের কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র আসনটি তপশিলি জাতিদের জন্য সংক্ষরিত। এরমধ্যে রয়েছে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলখুচি, সিতাই, দিনহাটা এবং নাটাবাড়ি। একসময়ে বামেদের শক্তঘাঁটি কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল থাবা বসাতে শুরু করে ২০১৪ সালের সধারণ নির্বাচন থেকে। সেবছর তৃণমূল প্রার্থী রেণুকা সিন্হা ফরওয়ার্ড ব্লকের দীপক কুমার রায়কে এক লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন। দীপক কুমারের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৩৯,৩৯৩ ভোট। আর রেণুকা সিন্হার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫২৬,৪৯৯।
কিন্তু হৃদরোগে রেণুকা সিন্হার (Renuka Singha)মৃত্যুর পর সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয় ২০১৬ সালে। তৃণমূল প্রার্থী করে পার্থ প্রতিম রায়কে। এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল (TMC)প্রার্থী। এবার প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির হেমচন্দ্র বর্মণকে হারান তৃণমূল প্রার্থী পার্থ প্রতিম রায়। বামেদের ঘাঁটি হলেও ২০১৬ সালে বামেরা প্রায় তিন নম্বরে পৌঁছে গিয়েছিল। বাম প্রার্থী নৃপেন্দ্রনাথ রায় পেয়েছিলেন মাত্র ৮৭,৩৬৩টি ভোট। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ প্রতিম রায়ের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭৯৪,৩৭৫। আর বিজেপি প্রার্থী হেমচন্দ্র বর্মনের(Hemchandra Barman) প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৮১,১৩৪।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল:
রেণুকা সিন্হা(তৃণমূল) — প্রাপ্ত ভোট ৫২৬,৪৯৯
দীপক কুমার(ফরওয়ার্ড ব্লক)—প্রাপ্ত ভোট ৪৩৯,৩৯৩
হেমচন্দ্র বর্মন (বিজেপি)—প্রাপ্ত ভোট ২১৭,৬৫৩
কেশব চন্দ্র রায়( কংগ্রেস) — প্রাপ্ত ভোট ৭৪,৫৪০
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রার্থী:
পরেশ চন্দ্র অধিকারী(তৃণমূল)(Paresh Adhikary)
নিশিথ প্রামাণিক (বিজেপি)(BJP)
গোবিন্দ রায়(ফরওয়ার্ড ব্লক)(Gobinda Roy)
পিয়া রায় চৌধুরী(কংগ্রেস)
মন্তব্য: চতুর্মুখী লড়াই হওয়ায় শাসক দল তৃণমূলের ভোট কাটার সম্ভবনা থাকলেও নিজেদের ঘাঁটি দখলে রাখতে মরিয়া পরেশ অধিকারীরা।