
গত এপ্রিল মাসে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) যে অশান্তি হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত একটি বিশেষ রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেয় তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল। যেখানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে যে রাজ্যের শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের মদতেই এই অশান্তি হয়েছে। এবং স্থানীয় থানার পুলিশ প্রথম থেকে এই ব্যাপারে সমস্ত কিছু জেনে শুনেও নিষ্ক্রিয় ছিল। এই রিপোর্টের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহিরাগত তত্ত্ব সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হল। এটা স্পষ্ট হল যে শর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভূত। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধীরা সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে মুর্শিদাবাদ ইস্যু নিয়ে।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অশান্ত করা হয়েছিল
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি বলেন, ওয়াকফ আন্দোলন নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ চলছিল। যে এলাকাগুলিতে ঘটনা ঘটেছিল, সেই সমস্ত এলাকাই শাসক দলের নেতৃত্বে ছিল। বিশেষ করে সামশেরগঞ্জের যে এলাকা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল সেখানে ৮০ শতাংশ মুসলিম জনবসতি এবং ২০ শতাংশ হিন্দুরা থাকতেন। এতদিনে কোনও ঝামেলা হয়নি। কিন্তু ওয়াকফ আন্দোলনের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ জমায়েতে উস্কানীপূর্ণ কিছু করা হয়েছিল, যে কারণে এই অশান্তি হয়। আর ওই এলাকাগুলিতে স্থানীয় নেতা, বিধায়কদের বাড়িও রয়েছে। তাঁরা সবকিছু জানতেন। তবুও হামলা আটকানোর চেষ্টা করেননি।
দেখুন অধীর রঞ্জন চৌধুরির বক্তব্য
#WATCH | Delhi | Congress leader Adhir Ranjan Chowdhury says, "... There was a conflict between the protestors and the police in Murshidabad... While peaceful protests were taking place, some agitators came and started burning shops and homes... The next day, a village was… pic.twitter.com/svbAXC5aTT
— ANI (@ANI) May 21, 2025
নীরব ছিল পুলিশ বাহিনী
অধীর আরও বলেন, পুলিশকে ৫-৬ ঘন্টা আগে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা ঘটনাস্থলে সেই সময় যায়নি। বরং পরে যখন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছিল, তখন ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক অশান্তি হয়নি, এই প্রমাণ করানোর জন্য বেশকিছু মুসলিম অধ্যুষিত জায়গায় গিয়ে হামলা করেছিল পুলিশ। আমার মতে এই ঘটনা পুরোপুরি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এতে হিন্দুরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। মুসলিমরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তবে এই নিয়ে স্থানীয় নেতারা লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেছিল। আর এই সুযোগে এখন বিজেপি পহেলগাম হামলার মিল খুঁজে আলাদা রাজনীতি শুরু করেছে।