CBI (image credit- IANS)

২১-এর নির্বাচনে ফলপ্রকাশের দিন কাঁকুড়গাছির নারকেলডাঙায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে (Abhijit Sarkar Murder Case) পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। এমনকী বাদ দেওয়া হয়নি তাঁর পোষ্য সারমেয়ওকেও। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। যার মধ্যে ১০ জনই ছিল পলাতক। পরবর্তীকালে এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় সংস্থার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় শীর্ষে ছিলেন কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা অরুন দে। যিনি এই খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ ৪ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। অরুনকে আজই সিবিআই বিশেষ আদালতে তোলা হয়।

ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হয়েছিলেন অভিজিৎ

আপাতত অভিজিতকে জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের পাকড়াও করাই মূল উদ্দেশ্য সিবিআই আধিকারিকদের। প্রসঙ্গত, ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন জয়ের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই হিংসার ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় একাধিক বিজেপি নেতাকর্মীর। ঘরছাড়া হন অনেকে এই নিয়ে অমিত শাহ বাংলায় এসে তুলে ধরেছিলেন নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান। নিহতদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন বাংলার তৎকালীন রাজ্যপাল জয়দীপ ধনখড়। এবং এই ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেন।

অভিজিতের পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল

নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনে বাড়ির সামনে ভারতীয় মজদুর সংঘের নেতা অভিজিৎ সরকারকে পিটিয়ে খুন করে তৃণমূল কর্মীরা। এই ঘটনার পর পরিবারের তরফ থেকে ফুলবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপর থেকেই অভিজিতের পরিবারের ওপরেও হামলার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এমনকী অভিজিতের দাদাও খুনের হুমকি পাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ পরিবারের। তবে তাঁরা মামলা সড়াবেন না বলে অনড় ছিলেন। অবশেষে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছেয