Calcutta High Court (Photo Credits: Wikimedia commons)

আগামী পয়লা অগাস্ট মাস থেকে কেন্দ্রকে রাজ্যে ফের ১০০ দিনের প্রকল্প (100 Days Works) শুরু করার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। বুধবার এইি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধনা করেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। কেন্দ্র দীর্ঘদিনের জন্য কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্প ঠাণ্ডা ঘরেো পাঠিয়ে দিতে পারে না, এমনটাই মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। তবে এই নির্দেশের মাধ্যমে কিছুটা হলেও অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য সরকারের। কারণ এই প্রকল্পে কী দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চালানোর ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র সরকারকে। দুর্নীতি রোধে যে কোনও শর্ত আরোপ করতে পারে কেন্দ্র। চাইলে ১০০ দিনের কাজের টাকা সরাসরি জব কার্ড হোল্ডারদের অ্যাকাউন্টে পাঠাতে পারবে কেন্দ্র।

উপকৃত হবেন জনসাধারণ

শুধু তাই নয়, দুর্নীতি রোধে রাজ্যে সরাসরি নজরদারি রাখতে পারে কেন্দ্র। এছাড়া তদন্তস্বার্থে বিভিন্ন জেলাতেও ঘুরতে পারবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর আদপে কতটা নৈতিক জয় পেল তৃণমূল সরকার, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ শেষমেশ কেন্দ্রকে তুলোধনা পরেও, তাঁদের হাতেই প্রকল্পের রাশ ধরিয়ে দিল হাইকোর্ট। এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র চাইলে রাজ্যের হাতে কোনও টাকা না দিতে পারে। সবমিলিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে উপকৃত হতে চলেছে রাজ্যবাসীর একাংশ। যদিও হাইকোর্টের এই নির্দেশে আলাদাই উল্লাসে রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

দেখুন কুণাল ঘোষের বক্তব্য

কেন্দ্রকে আক্রমণ কুণাল ঘোষের

তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণালের ঘোষের বক্তব্য, “কেন্দ্র বৈষম্য করে বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেথেছিল, গরীব মানুষদের টাকা দেওয়া হয়নি। ৫৯ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারদের ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে দিয়েছে। আমরা কেন্দ্রের এই বঞ্চনা নিয়ে কলকাতা তো বটেই, দিল্লিতে গিয়েও প্রতিবাদ, ধর্না করেছি। অবশেষে আমাদের দাবি মান্যতা পেল। কেন্দ্র বেআইনিভাবে, বৈষম্যমূলকভাবে, প্রতিহিংসাপরায়ণভাবে বাংলার টাকা আটকে রেথেছিল। হাইকোর্ট বাকি যা নির্দেশ দিয়েছে, সেটা রাজ্য সরকারের তরফে বিস্তারিতভাবে বলা হবে”।