Bowbazar Metro Construction Disaster Update: সাত মাস পেরিয়ে চরম ভোগান্তিতে বউবাজার বিপর্যয়ের গৃহহীনরা
গতবছর অগাষ্টে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East-West Metro) সুড়ঙ্গ খোড়ার সময় ভয়ংকর বিপর্যয় (Bowbazar Metro Construction Disaster) ঘটে গিয়েছিল বউবাজার চত্বরে। হুড়মুড়িয়ে একের পর এক ভেঙে পড়েছিল বাড়ি। ঘরছাড়া হতে হয়েছিল একাধিক পরিবারকে। তারপর কেটে গিয়েছে সাত-সাতটা মাস। কিন্তু হাল ফেরেনি সেই গৃহহীনদের।
কলকাতা, ২৪ ফেব্রুয়ারি: গতবছর অগাষ্টে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East-West Metro) সুড়ঙ্গ খোড়ার সময় ভয়ংকর বিপর্যয় (Bowbazar Metro Construction Disaster) ঘটে গিয়েছিল বউবাজার চত্বরে। হুড়মুড়িয়ে একের পর এক ভেঙে পড়েছিল বাড়ি। ঘরছাড়া হতে হয়েছিল একাধিক পরিবারকে। তারপর কেটে গিয়েছে সাত-সাতটা মাস। কিন্তু হাল ফেরেনি সেই গৃহহীনদের।
এদিকে চলতি মাসেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর আংশিক রুটের সূচনা হয়েছে। নতুন করে বাকি অংশে সুড়ঙ্গ খোড়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। পূর্বের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগে ভাগেই ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে এলাকা। অতিরিক্ত সচেতনতা অবলম্বন করে চলছে কাজ। সংবাদ প্রতিদিনের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রবল সমস্যায় অগাষ্ট মাসের বিপর্যয়ে ঘরছাড়া বউবাজারের বাসিন্দারা (Locals Of Bowbazar)। কয়েকমাস ধরে ভাড়া বাড়িতে থাকলেও এখনও নতুন ঠিকানার প্রমাণ পাননি বউবাজারের স্যাকরাপড়া ও দুর্গাপিতুরি লেনের অনেক বাসিন্দারা। যার কারণে নিত্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বউবাজারের এক বাসিন্দার কথায়, “মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাড়িওয়ালার সরাসরি ভাড়ার চুক্তি হয়েছে। ফলে আমাদের কাছে বাড়ির ভাড়ার কোনও চুক্তিপত্র নেই। ডাক মারফত ব্যাংকের কোনও চিঠি বা নথি নতুন ঠিকানায় আসছে না। স্থানীয় ডাকঘরে গিয়ে বিষয়টি জানাতে গেলে তারাও ঠিকানার কোনও প্রমাণপত্র চেয়েছেন। রান্নার গ্যাস নেওয়াও রীতিমতো ঝক্কি হয়ে দাঁড়িয়েছে।” আরও পড়ুন: Firhad Hakim: পুরসভা ভোটের আগে শহরের 'জঞ্জাল-সাফ' মিশনে ফিরহাদ হাকিম, নিজের পাড়াতে মাতলেন চা-চর্চায়
অভিযোগ, এবিষয়ে বাড়িওয়ালাদের (Owners Of House) সঙ্গে কথা বলা হলেও সমস্যা মিটছে না। বাধ্য হয়ে রাতারাতি ভিটে হারা এই পরিবারগুলি একত্রিত হয়ে গঠন করেছে একটি কমিটি। যার নাম স্যাকরাপাড়া লেন বাঁচাও কমিটি। এ প্রসঙ্গে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হলে এক আধিকারিক বলেন, ঘরছাড়া বউবাজারের বাসিন্দাদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দুটো কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু সমস্যা যে রয়েছে হাবেভাবে তা স্বীকার করে নেন তিনি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন। পাশাপাশি, বর্তমানে মেট্রোর যে কাজ শুরু হয়েছে তা অত্যন্ত সতর্কভাবে করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।