কলকাতা, ১ জুলাই: দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) আক্রমণের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকেরা। বুধবার নবান্ন অভিযান করার সময় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে বাধা দেয় পুলিশ। প্রথমে বচসা, তারপর রীতিমত ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ কর্মীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। দ্বিতীয় হুগলি সেতু ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান রাজ্য বিজেপি কর্মীরা। ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদকে আক্রমণের ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে লেদার কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির সিঙ্গুর। ব্যান্ডেল এবং কোচবিহারে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। জলপাইগুড়িতেও বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। দিলীপ ঘোষের উপর হামলার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে ফোন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, সেটি সম্পূর্ণ শোনেন অমিত শাহ।
বুধবার সকালে নিউটাউনে নিজের বাড়ির সামনেই আক্রান্ত হন দিলীপ ঘোষ। কিছুদিন আগে সল্টলেকের বাড়ি ছেড়ে নিউটাউনের জোতভীম এলাকার ১২ কামরার একটি বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে যাওয়ার পরেই গোটা আবাসনের লোকজনের সংঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজ শুরু করেছেন তিনি। এলাকায় বিভিন্ন চা-চক্রের আয়োজন করে চলছে পরিচিত হওয়ার পালা। বুধবার সকালে এমনই এক চা-চক্রে গিয়ে আক্রান্ত হলেন দিলীপবাবু। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাই দিলীপবাবুর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। দেহরক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে ছুটে এলেও গন্ডগোল মেটেনি। ধস্তাধস্তিতে সামান্য চোট পান বঙ্গ বিজেপির সভাপতি।