কলকাতা, ১৪ জুন: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল৷ পরেও তা বজায় রইল৷ বিজেপির আশায় জল ঢেলে বিরাট জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মা মাটি মানুষের সরকারের জয়জয়কারের মধ্যেই ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দলবদলু নেতারা সুর নরম করেন৷ কয়েকজন একেবারে অন্তরালে চলে যান৷ এক মাসের মধ্যেই প্রচুর বিজেপি সমর্থক তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়েছেন৷ গত শনিবার ঘরে ফিরে বঙ্গ বিজেপিকে বড় ধাক্কাটা দিয়েছেন বিজেপির ভূতপূর্ব সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়৷ রায় সাহেবের দলত্যাগে মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের৷ তবে তাতে দমেননি দিলীপ ঘোষ( Dilip Ghosh)৷ সাফ বললেন, “বেশি চর্বি জমে গেলে দেখতে ভাল লাগে না। চর্বি ঝরছে এটা ভাল।” আরও পড়ুন-Sushant Singh Rajput Death Anniversary: প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে সুশান্তকে মনে করলেন ভূমি পেডনেকর, পুলকিত সম্রাট, অমিত সাধ
কয়েকদিন আগে মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন অ্যাপোলো হাসপাতালে যান, তখন দিলীপবাবুর বক্তব্য ছিল৷ বিপদের সময় পরিচিতরা পাশে দাঁড়াবেন এটাই তো ঠিক৷ তবে শনিবার মুকুলের দলত্যাগের পরে তাঁর মন্তব্য, “মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে এলে যদি তৃণমূলের ক্ষতি না হয়, তাহলে বিজেপি ছেড়ে গেলে বিজেপির কেন ক্ষতি হবে। বিজেপিতে থাকতে গেলে স্যাক্রিফাইস করতে হবে। ধান্দাবাজরা বিজেপিতে থাকতে পারবেন না। থাকতে দেব না। বিজেপিতে থাকতে হলে ত্যাগ-তপস্যা করতে হবে। যাঁরা শুধু ক্ষমতা ভোগ করতে চান, তাঁরা বিজেপিতে থাকতে পারবেন না। আমরাই রাখব না।”
এই আবহে দলবদুলদের যে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে না তা-ও মনে করিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ৷ বললেন, “দল ছাড়াটা এখন অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিজেপি সেই লোকেদের উপর নির্ভর করে, যাঁরা রক্ত দিয়ে, ঘাম ঝড়িয়ে দলকে দাঁড় করিয়েছে৷”