Samik Bhattacharya (Photo Credit: X/PTI)

শনিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন পরিস্থিতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব গোটা বিষয়টি নবান্ন থেকে বসে খতিয়ে দেখছেন। রবিবার সকালেও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আলোচনা করেছেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তবে প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে আদৌ কবে তিনি যাবেন কিনা, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। আর সেই নিয়েই বিরোধীদের নিশায় রাজ্য সরকার।

সমালোচনা শমীক ভট্টাচার্যের

বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টচার্য (Shamik Bhattacharya) বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের হাতে নেই। কিন্তু দুর্যোগ হলে সেখান থেকে স্থানীয় মানুষদের কীভাবে সুরক্ষিত ভাবে উদ্ধার করা হবে, পরিস্থিতি কীভাবে স্বাভাবিক করে তোলা হবে, এই সমস্ত বিষয় আমাদের হাতে আছে। কিন্তু এই রাজ্যের সরকার ১৪ বছর থেকে নিকাশি ব্যবস্থা কতটা উন্নত করেছে? রক্ষণাবেক্ষণের কাজ কতটা সঠিকভাবে হয়েছে, তা এখন আমরা নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি। কোচবিহারের মতো প্ল্যানড শহরেও জল ঢুকে পড়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা এতটাই খারাপ যে জল নামছে না”।

দেখুন শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য

বন্যা পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে

প্রসঙ্গত, একটানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়েছে পড়েছে উত্তরবঙ্গের তিন জেলার বেশকিছু এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে ডুয়ার্স অঞ্চলে। তিন জেলায় মিলিয়ে প্রায় ৫০০টির বেশি বাড়ি আপাতত জলের তলায়। যার ফলে ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। উদ্ধারকাজে নেমেছে উদ্ধারকারী দল। নাগরাকাটা, বানেরহাট, গয়েরহাটা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সবথেকে খারাপ অবস্থা জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা। এদিকে ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি পঞ্চায়েতের সাহেববাড়ি এলাকায় বহু ঘরে জল ঢুকে পড়েছে। অন্যদিকে টানা বৃষ্টির জেরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক অংশের কালভার্ট ও ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে যান চলাচলে।