কসবা গণধর্ষণ কাণ্ড (Kasba Gang Rape Case) নিয়ে ফের তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আরজি কর কাণ্ডের ক্ষত এখনও দগদগে রয়েছে, এরমধ্যেই আবারও শহরে নারী নির্যাতনের ঘটনা। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে এক প্রথম বর্ষের আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে কলেজের দুই বর্তমান ছাত্র এবং এক প্রাক্তন ছাত্র। তাও আবার কলেজ প্রাঙ্গনের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। ফলে এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং ইতিমধ্যেই লেগে গিয়েছে। তৃণমূলকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। অন্যদিকে কসবার ঘটনাটি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে পাল্টা দলকেই অস্বস্তিতে ফেলেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্য

গত শুক্রবার তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “বন্ধু বান্ধবীকে রেপ করে তাহলে কী করে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব? কলেজের ভেতরে যদি এরকম ঘটনা ঘটে, তাহলে কলেজে তো পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তো পুলিশ থাকবে না। এটা কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। তৃণমূল সাংসদের এহেন মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র। এই মন্তব্যে বিরোধীতা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র বলেছেন, এরজন সাংসদ হয়ে কীভাবে্ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এরকম অবিবেচকের মতো মন্তব্য করতে পারেন। কলেজটা তো রাজ্যের বাইরে নয়। তাহলে সেখানে পুলিশের নিরাপত্তা দিতে সমস্যা কোথায়”?

দেখুন সম্বিত পাত্রের মন্তব্য

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সম্বিত পাত্র

সম্বিত আরও বলেন, “তৃণমূল বরাবরই নিজের রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে দায় ঝাড়তে ব্যস্ত। অতীতেও পার্ক স্ট্রিট, হাঁসখালি, কামদুনি, সন্দেশখালি এবং আরজি করের ঘটনার সময় দায় এড়িয়ে গিয়েছে। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর নেতামন্ত্রীদের স্বভাব। আগামীদিনে বিজেপির চার সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করবেন। সৎপাল সিং, মিনাক্ষি লেখি, বিপ্লব কুমার দেব এবং মনন কুমার মিশ্র খুব শীঘ্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করবেন এবং তার রিপোর্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে দেবেন”।