কসবা গণধর্ষণ কাণ্ড (Kasba Gang Rape Case) নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সেই কারণেই এই ঘটনায় নিয়ে রাজনৈতিক তরজা এখনও অব্যাহত। শুক্রবার ঘটনাস্থলে অভিযুক্তদের নিয়ে গিয়ে ঘটনার পূনর্নিমান করেন বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। যদিও কলকাতা পুলিশের তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় প্রকাশল করেছে বিজেপি। তবে নির্যাতিতার পরিবারের আস্থা রয়েছে কলকাতা পুলিশের ওপর। সেই কারণে এই নিয়ে বিশেষ আপত্তি জানাচ্ছে না বিজেপি। তবে ইতিমধ্যেই কলেজের গভর্নিং বডি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।
পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির
কসবার ঘটনা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, দোষীদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে দোষীদের কী শাস্তি দেওয়া হবে? তবে আমার মতে কলেজের গভর্নিং বডির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। একজন প্রাক্তনীকে কেন কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হল, এই নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত। কারণ তাঁদের মদতেই কলেজে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। ফলে তাঁদের নিয়েও তদন্ত করা উচিত। এমনকী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত।
দেখুন শঙ্কর ঘোষের মন্তব্য
Kolkata, West Bengal: In the Kolkata gang rape case, a reconstruction of the crime scene was conducted today at South Calcutta Law College
BJP MLA Shankar Ghosh says, "This is part of the investigation. The biggest question is whether there will be punishment or not" pic.twitter.com/ZE0uA5cXlQ
— IANS (@ians_india) July 4, 2025
গভর্নিং বডি নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ শঙ্কর ঘোষের
প্রসঙ্গত, এই গভর্নিং বডির সুপারিশেই কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে তিনমাসের জন্য নিয়োগ হয়েছিল মনোজিৎ। ফলে তাঁর প্রভাব কলেজের মধ্যে ভালোই ছিল বলে দাবি করছে বিরোধীরা। কলেজে পড়ুয়া থাকাকালীন ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিল মনোজিৎ। সেই সুবাদে তৃণমূলের একাধিক নেতানেত্রীর সঙ্গেও তাঁর ছবি রয়েছে। যদিও মনোজিতের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।